ঢাকা: মিশরে সেনাবাহিনীর অভিযানে শত শত লোক নিহত হওয়ার পর নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা। শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বের করার ডাক দিয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড।
১৪ আগস্ট মুরসিপন্থিদের কায়রো থেকে হঠানোর জন্য অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এতে সংঘর্ষে ৬৩৮ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এ ঘটনার পর মিশরজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং পুলিশকে অনুমতি দেয়া হয়েছে গুলি করা।
মুসলিম ব্রাদারহুড শুক্রবারকে ‘ক্রোধের দিন’ ঘোষণা দিয়েছে। তারা বিশাল বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এদিকে দমনপীড়ন কমানোর কোনো ইঙ্গিত দেয়টি মিশরের সেনা সমর্থিত সরকার।
মনে করা হচ্ছে, মুসলিম ব্রাদারহুড বিক্ষোভ বের করলে ১৪ আগস্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে, প্রাণ হারাতে পারেন অনেক লোক।
বৃহস্পতিবার মিশর সরকার জানায়, কায়রোর বাইরে মুরসি সমর্থকরা পুলিশ স্টেশন, হাসপাতাল ও সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফের কোনো হামলার ঘটনা ঘটলে পুলিশ তাজা গুলি ব্যবহার করবে।
দেশজুড়ে গির্জাসহ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন স্থাপনায় মুরসি সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র গেহাদ এল-হাদ্দাদ টুইট করেছেন, কায়রোর আশপাশের মসজিদগুলো থেকে ‘ক্রোধের শুক্রবার’ (বিক্ষোভ) শুরু হবে যা রামসেস স্কয়ারে মিলিত হবে।
বৃহস্পতিবার মুসলিম ব্রাদারহুডের মুক্ত থাকা এসাম এলিরিয়ান জানিয়েছেন, মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেছেন, তারা আমাকেসহ আমাদের ১০০ জনকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু তারা মিশরের সম্মানিত প্রত্যেক নাগরিককে গ্রেফতার করতে পারে না। তারা এই মহিমান্বিত বিপ্লবকে থামাতে পারেন না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com