ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

জঙ্গি কবল থেকে মুক্তি দুই কিশোরের

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২২, আগস্ট ১৬, ২০১৩

আগরতলা (ত্রিপুরা): জঙ্গি কবল থেকে ১৭ দিন পর মুক্তি পেল দুই কিশোর। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরে আসে মোহন ত্রিপুরা (১৫) ও ঊষাময় ত্রিপুরা (১৫)।

শুক্রবার তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ছামনু হাসপাতালে। সেখানে তাদের চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল চেক আপের পর পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

গত ২৯ জুলাই দু’কিশোরকে অপহরণ  করে সন্ত্রাসবাদীরা। ত্রিপুরার লংতরাইভ্যালি মহকুমার হারিয়ামনি রোয়াজাপাড়া থেকে রাতে তাদের অপহরণ করে জঙ্গিরা। সেদিন রাত নয়টা নাগাদ জঙ্গির একটি দল হানা দেয় হারিয়ামনি রোয়াজা পাড়ায়।

সে সময় পাড়ার লোকজন প্রায় সবাই খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমাচ্ছিলেন। তিনটি বাড়িতে পরপর হানা দেয় জঙ্গি দলটি। তিন বাড়ি থেকে তিন জনকে তুলে নিয়ে যায় তারা।

যে তিনজনকে জঙ্গিরা অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা হল- দারি মোহন ত্রিপুরা (১৫), ঊষাময় ত্রিপুরা (১৫) এবং নিশাজয় ত্রিপুরা (২৫)। গ্রাম থেকে কিছুটা দূর নিয়ে গিয়ে নিশাজয় ত্রিপুরাকে ছেড়ে দেয় জঙ্গি দলটি। বাকি দুজনকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়।

জঙ্গিদের চাঁদা দিয়েই দুই কিশোরকে ঘরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে খবর। যদিও পুলিশ সেকথা স্বীকার করছে না। পুলিশের দাবি কিশোরদের অপহরণ করার পর নিরাপত্তা কর্মীরা ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। সেই অভিযানে ভয় পেয়েই অপহৃত কিশোরদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা।

কিন্তু অপহরণের পর এলাকাবাসী জানিয়েছিলেন, জঙ্গি দলটি এলাকায় চাঁদার নোটিশও দিয়ে যায়। প্রতি পরিবার পিছু ২৩০০ টাকা করে দিতে জঙ্গি দলে চাঁদা দিতে দাবি করে তারা। এলাকায় প্রায় দুশো পরিবার রয়েছে।

হারিয়ামনি রোয়াজা পাড়ায় বাড়ি এলাকার বিধায়ক নিরাজয় ত্রিপুরার। তার কাছেও জঙ্গিরা বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল।

হারিয়ামনি রোয়াজা পাড়া লংতরাইভ্যালি মহকুমার সদর শহর ছৈলেংটা থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে। নাতিনমনু এডিসি ভিলেজের অন্তর্গত। আগরতলা শহর থেকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার দূরে এই হারিয়ামনি রোয়াজা পাড়া।

সম্পূর্ণ উপজাতি অধ্যুষিত এই এলাকা। অন্যদিকে দুর্গমও। সড়ক পথে যান যোগাযোগ নেই বললেই চলে।

বাংলাদেশ সময় : ১৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।