ঢাকা: ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ আইএনএস সিন্ধুরক্ষকে বিস্ফোরণের পর উদ্ধার হয়েছে চার জনের মৃতদেহ। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় মৃতদেহগুলিতে চেনা যাচ্ছে না।
এজন্য মৃতদেহগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৫ জন নাবিক। এঁদের মধ্যে তিন জন নৌ-সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ মুম্বাই ডক ইয়ার্ডে ভারতীয় নৌসেনার সাবমেরিন আইএনএস সিন্ধুরক্ষক-এ একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
তারপরেই আগুন ধরে যায় ডুবোজাহাজটিতে। সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ১৮ জন নাবিকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন নৌসেনা প্রধান ডিকে যোশী। এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের আশঙ্কার কথা খারিজ করে দেননি নৌ-কর্মকর্তারা।
প্রাণ বাঁচাতে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন নৌসেনা জওয়ান। দুর্ঘটনায় আহত জওয়ানদের কোলাবায় নৌসেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি বলেন, "নৌবাহিনীর যে সকল জওয়ান দেশের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। " যদিও ঠিক কতজন দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছুই বলেননি অ্যান্টনি।
ভোরে যখন বিস্ফোরণটি ঘটে, তখন ডিটোনেটর আর টর্পেডোতে ভর্তি ছিল সাবমেরিনটি। ফলে সাবমেরিনে থাকা নাবিকদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নৌসেনার ডুবুরিরা জলের তলায় নাবিকদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৬২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা:পিএস