আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্মরত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ জওয়ানদের বাংলা ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। ভাষাগত সমস্যার কারণে প্রায়শই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সীমান্তের জওয়ানদের।
সূত্র জানায়, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সীমান্তে কর্মরত জওয়ানদের বাংলা ভাষা শিখতে হবে। প্রথম পর্বে শিখতে হবে বাংলা ভাষায় কথা বলা। পরবর্তী পর্যায়ে শিখতে হবে বাংলা লিখতে এবং পড়তে।
৯০ দিনের কর্মসূচি শেষ করার পর জওয়ানদের পরীক্ষা নেয়া হবে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পোস্টিং দেয়া হবে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ের সীমান্তে।
এ বছর ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত এলাকায় বেশির ভাগই বাঙালি অংশের মানুষের বসবাস। এই চার হাজার কিলোমিটারের মধ্যে ত্রিপুরায় রয়েছে ২৪৫টি বি ও পি এবং পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ১১৮৫টি বি ও পি। এইসব বি ও পিতে কর্মরত বি এস এফ জওয়ানদের মধ্যে ৯০ শতাংশই বাংলা জানেন না। তারা কথা বার্তা বলেন হিন্দিতে। ফলে তাদের কথা বুঝতে অসুবিধা হয় সাধারণ মানুষের।
যোগাযোগের এই অসুবিধার জন্য সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই সমস্যা হয়। যার কারনে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতের প্রতিরক্ষা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। তাই সীমান্ত এলাকায় মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর জন্যই বিএসএফ জওয়ানদের বাংলা ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর, এসএস