ঢাকা: মিশরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বের করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে নতুন করে সংঘর্ষে ৯৫ জনের বেশি নিহত হয়েছে। হতাহতের ঘটনা বেশির ভাগই ঘটেছে রাজধানী কায়রোয়।
বুধবার কায়রোয় সেনা অভিযান চালিয়ে মুরসিপন্থিদের শিবির গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ৬৩৮ জন নিহতের প্রতিবাদে শুক্রবারকে ‘ক্রোধের দিন’ হিসেবে ঘোষণা দেয় মুসলিম ব্রাদারহুড। এ জন্য শুক্রবার জুমার নামাজের পর কায়রোর আশপাশের ২৮টি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলগুলো কায়রোর রামসেস স্কয়ারে এসে মিলিত হয়।
মুরসিতে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনাকে ক্যু হিসেবে অভিহিত করে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয় ‘জনগণ ক্যুর অবসান ঘটাতে চায়’।
বিবিসির এক সংবাদদাতা জানান, একটি পুলিশ স্টেশনে আগুনে দেয়া হলে বিক্ষোভ খুব দ্রুত সহিংসতায় রূপ নেয়। রামসেস স্কয়ারের মসজিদ থেকে ১২টি মরদেহ বের করতে দেখেছেন তিনি।
নিহতের অধিকাংশ ঘটনা ঘটেছে কায়রোতে। নীলনদ বদ্বীপের শহরগুলোতে ২১ জনসহ বিভিন্ন স্থানে ২৫ জন নিহত হয়েছে।
মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, আন্দোলনরত মুসলিম ব্রাদারহুডের ৮২১ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব কর্মীদের আটকের সময় তাদের অনেকের কাছে হাতবোমা, পিস্তলসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার বিক্ষোভকারীদের শিবির গুড়িয়ে দেয়ার অভিযানে ৬৩৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল তীব্র নিন্দা জানায়। তবে ওই ‘হত্যা অভিযানের’ পক্ষে সাফাই গায় মিশরের সরকার। এ ঘটনার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুলি চালানোর অনুমতি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com