ঢাকা: মিশরের রাজধানী কায়রোর আল ফাতাহ মসজিদের সামনে মুরসি সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আল ফাতাহ মসজিদ অবরুদ্ধ করে মিনারকে লক্ষ্য করে গুলি করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে দেশটির সরকারি মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শুক্রবারের সহিংসতায় ১৭৩ জন ব্রাদারহুড সমর্থক নিহত হয়েছে।
এছাড়া, শুক্রবার সেনাবাহিনীর গুলিতে ব্রাদারহুডের প্রধান নেতা মোহাম্মদ বদিইর ছেলে আম্মর বদিইও নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আল ফাত্তাহ মসজিদের পাশ থেকে কামানের গোলারও আওয়াজ শোনা গেছে। এর আগে মুরসি সমর্থকদের বিক্ষোভস্থল রামসেস স্কয়ার ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী।
অন্যদিকে, বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সেনাসমর্থিত অন্তর্বতী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাজেম এল বেবলায়ি জানিয়েছেন, ব্রাদারহুডকে আইনানুগভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠা সত্ত্বেও বেবলায়ির এ ধরনের ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।
এর আগে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে স্বপদে বহাল করার দাবিতে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ছয় শতাধিক লোক নিহত হয়। তবে ব্রাদারহুড ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি অনুযায়ী ওই দিনের নিহতের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি।
বুধবারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবারকে ‘ক্রোধ দিবস’ ঘোষণা করে নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দেয় এক সময়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত দল ব্রাদারহুড।
অপরপক্ষে ব্রাদারহুডকে দমাতে আগে থেকেই রণপ্রস্তুতি নিয়ে রাখে সেনা কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, উভয়পক্ষই সহনশীলতা না দেখালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৩
এইচএ/এসআরএস