ঢাকা: দেশ ত্যাগ করে অস্ট্রিয়ার উদ্দেশ্যে বিমানে চড়েছেন অস্থিতিশীল মিশরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদ্য পদত্যাগী ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এল বারাদি।
দেশটির বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর ভিয়েনার উদ্দেশ্যে কায়রো বিমানবন্দর ছাড়েন এল বারাদি।
দেশের এই চরম সংকটময় মুহূর্তে কেন তিনি দেশ ত্যাগ করলেন এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি দেশটির সরকারি সংবাদ মাধ্যমগুলো।
তবে ব্রাদারহুড নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এল বারাদির এই দেশ ত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন চলছে।
ব্যাপক সহিংসতায় পাল্টা সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা, সরকারের মধ্যে ব্যাপক মতানৈক্য এবং পরিস্থিতি আরও বেশি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষে পশ্চিমা সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে তার এই কৌশলী ইউরোপ সফর বলে মনে করছে ব্রাদারহুড সমর্থিত সংবাদ মাধ্যমগুলো।
এর আগে অবশ্য বুধবারের সহিংসতায় প্রায় সাতশ’ ব্রাদারহুড কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার পর ‘এক ফোঁটা রক্তপাতেরও দায়ভার কাঁধে না নেওয়ার’ কথা জানিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন কট্টর মুরসিবিরোধী সাবেক এই আমলা।
তার এই পদত্যাগও ছিল অবাক করা ব্যাপার। কারণ, সেনা অভ্যুত্থানে মুরসির ক্ষমতাচ্যুতিকে প্রথম স্বাগত জানিয়েছিলেন আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক এই প্রধানই।
এদিকে, মিশরের সেনানিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে দফায় দফায় সহিংসতায় প্রায় নয়শ’ মানুষের প্রাণহানির পর করণীয় নির্ধারণ করতে বৈঠকে বসছে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ।
এছাড়া ব্রাদারহুডের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা সংলাপে না বসে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনায় সরকার এগোচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী হাজেম এল বেবলায়ির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা গেছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দু’পক্ষের অনড় অবস্থান এবং ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা মিশরের জন্য চরম আত্মঘাতী পদক্ষেপ হবে।
এজন্য যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দু’পক্ষকে সহনশীলতা প্রদর্শন ও সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৩
এইচএ/আরকে