ঢাকা: বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্য দিয়ে প্রবহমান দু’টি নদীর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌযোগাযোগ স্থাপন সম্ভব বলে জানিয়েছে ‘রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস’ (রাইটস) নামে একটি যোগাযোগ বিশেষায়িত সংগঠন।
রোববার ভারতের পরিবহন বিভাগের সেক্রেটারি কিশোর আম্বুলি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মেঘনা ও তিতাস নদীর সঙ্গে ত্রিপুরার গোমতী ও হাওড়া নদীর সংযোগ মাধ্যমে আন্তদেশীয় নৌযোগাযোগ স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সমীক্ষা চালিয়ে একটি সম্পূর্ণ প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) জমা দিয়েছে রাইটস।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নৌযোগাযোগ উন্নয়নে ডিপিআর প্রস্তুতের জন্য রাইটসকে সার্বিক সহযোগিতা করে সরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিল (নেক)। প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে নৌযোগাযোগ স্থাপনের জন্য প্রকল্প প্র্রতিবেদনটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে জমা দেওয়া হবে বলে জানান কিশোর।
এ বছরের শুরুর দিকে প্রাথমিক এই সমীক্ষাটি চালায় রাইটস। এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে নৌযোগাযোগ স্থাপনে গোমতী নদীকে জাতীয় নৌপথ ঘোষণা করতে কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্য ২,৯৭৯ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত এবং ১,১১৬ জল সীমানা রয়েছে। ত্রিপুরার মধ্য দিয়ে আটটিসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবহমান।
কলকাতাসহ মূল ভূখণ্ডের শহরগুলো থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের নৌপথ ও বন্দর ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে ভারত।
কিশোর আম্বুলি মনে করেন, প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত এই নৌযোগাযোগ স্থাপিত হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোয় পণ্য সরবরাহ সহজ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৩
এইচএ/আরআর/জিসিপি