ঢাকা: কায়রোয় কারফিউ ভঙ্গের অভিযোগে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে মিশর পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক(বহি:প্রচার ও অনুবিভাগ) শামীম আহসান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
কায়রোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাত দিয়ে শামীম আহসান জানান, শ্রমিক হিসেবে কর্মরত মো. নেসার উদ্দিন ও ছাত্র বেলায়েতকে কারফিউ ভঙ্গের অপরাধে গ্রেফতার করেছে মিশর পুলিশ। তাদের শিগগির মুক্ত করতে বাংলাদেশি দূতাবাস চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ১৬ আগস্ট কায়রোর সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ মো. সাইদ নামের শ্রমিককে চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
মিশরে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে এবং চলাচল সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে কায়রোস্থ দূতাবাস থেকে।
এর আগে ১৪ আগস্ট মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের কায়রো থেকে সরিয়ে দিতে সেনা অভিযানের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশিরা নিরাপদে রয়েছেন। অভিযান ও এর ফলে সৃষ্ট সহিংসতায় ৬৩৮ জন নিহত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার বাংলাদেশি বর্তমানে মিশরে অবস্থান করছেন।
৩ জুলাই মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। এরপর থেকেই মিশরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার পর দেশটিতে প্রায় হাজার জন নিহত হয়েছে। মুরসিকে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা।
সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশটির শাসনকার্য পরিচালনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশরের বর্তমান সংকট নিরসণে চেষ্টা চালালেও তা কাজে দিচ্ছে না।
মিশরের পরিস্থিতি এতোটাই ঘোলাটে হয়েছে যে, মুরসির পতনের পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালনকারী মোহাম্মাদ এল-বারাদি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ছেড়ে দিয়ে বিদেশে চলে গেছেন। মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান মোহাম্মদ বদিইকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা/আপডেটেড:০০৪৪ ঘণ্টা/ আপডেটেড: ০১৩১, আগস্ট ২১, ২০১৩
জেপি/এমএন/এসএফআই/আরকে