ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার ২৮তম প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কনজারভেটিভ পার্টি নেতা টনি অ্যাবট। এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন অস্ট্রেলিয়া লেবার পার্টির ছয় বছরের ক্ষমতার অবসান হলো।
আগাম ভোট গণনার ফলাফলে এই তথ্য পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজ্যে লিবারেল-ন্যাশনাল জোট নেতা অ্যাবট প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাডের চেয়ে বিশাল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
এবারের নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি, নিরাপত্তা ইস্যু, কার্বন ট্যাক্সের মতো বিষয়গুলো ভোটারদের প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নেতৃত্বের প্রশ্নে লেবার পার্টি প্রধানের পদ হারানোর পর জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড অবসর নেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন মিঃ রাড।
২০১০ সালে রাডকে সরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জুলিয়া গিলার্ড।
শেষ মুহূর্তে শুক্রবার জোর নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ও লিবারেল ন্যাশনাল পার্টি।
কেভিন রাড গতকাল তাঁর শেষ প্রচারাভিযানটি চালান নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের সেন্ট্রাল কোস্টে এবং অ্যাবোট ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী মেলবোর্নে।
তিনি তাঁর প্রচারে লেবার সরকারের অর্থনৈতিক অবদান তুলে ধরে বলেন, আরো কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, হাসপাতাল, ব্রডব্যান্ড এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ভারে সহায়তা অব্যাহত রাখা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে টনি অ্যাবোট অপচয় রোধ এবং একুশ শতকের মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি দুর্বল ও বিভক্ত লেবার সরকারের বিষয়ে ভোটারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘একটি নতুন পথ খুঁজে নেয়ার এখন একমাত্র উপায় হলো নতুন সরকার বেছে নেয়া’।
দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবারের সাধারণ নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ভোটার অংশগ্রহণ করছেন। দেশের নাগরিক যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ভোট প্রদান করতে হবে।
ভোট শুরু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ লাখেরও বেশি ভোট পড়েছে আর এ বিষয়টিকে একটি রেকর্ড বলে উল্লেখ করল দেশটির নির্বাচন কমিশন।
তিন মাস আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন কেভিন রুড। ২০১০ সালে তাকে সরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জুলিয়া গিলার্ড। গত জুনে গিলার্ড লেবার পার্টি প্রধানের পদ থেকে অবসর নিলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রুড।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৩
কেএইচ/আরআইএস