ঢাকা: টাইলস করা মেঝেতে বেশ কিছুক্ষণ শ্বাসকষ্টে ধড়পড় করেন এক ব্যক্তি। উদোম লোকটির শ্বাস-প্রশ্বাস একসময় বন্ধ হয়ে আসে।
গত ২১ আগস্ট সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে ঠিক এ রকমই বিভীষিকাময় দৃশ্যের ১৩টি ভিডিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো ভিডিওগুলো রোববার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
ভিডিগুলোতে দেখা যায়, হামলাস্থলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পানি পানি বলে চিৎকার করছেন আর বারবার প্রার্থনা করছেন সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে। একটু পর জোরে চিৎকার দেওয়া লোকটির স্বর থেমে যাচ্ছে। থেমে যাচ্ছে তার শ্বাস-প্রশ্বাস।
এসব ভিডিওকে ‘বিভীষিকাময়’ আখ্যা দিয়ে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির যথার্থতা সত্য প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা বিষয়ক পরিষদ।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, নিজ দেশের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করতে এই জঘণ্য রাসায়নিক হামলা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনীই চালিয়েছে। যদিও সিরিয়ার সরকার এ জন্য বিরোধীদের দায়ী করে আসছে।
অবশ্য রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের এসব ভিডিও এর আগে ইউটিউবেও প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু এই ১৩টি ফুটেজের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, মার্কিন প্রশাসন এই ভিডিওগুলোকে তাদের দাবির পক্ষে যথার্থ প্রমাণ বলে দাবি করছে।
অবশ্য, সিরিয়ার সরকারই যে রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালিয়েছে এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণ প্রকাশ হয়নি ফুটেজগুলোতে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কংগ্রেসের ভোটাভুটির আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যেই এই ভিডিওগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, এই বিভৎস ভিডিওগুলো কংগ্রেসের ভোটাভুটিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাবেক কংগ্রেসম্যান ও জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বিশেষ দূত বিল রিচার্ডসন বলেন, এই ভিডিওগুলো দেখার পর কোনো মার্কিন নাগরিকই সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে ভেটো দিতে পারেন না। শুধু হস্তক্ষেপই নয়, এ ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ যাতে ভবিষ্যতে কেউ না করতে পারে সেজন্যই শিগগির হামলা চালানো উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে