ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিরিয়াকে সারিন গ্যাসের উপাদান দিয়েছিল যুক্তরাজ্য!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৩
সিরিয়াকে সারিন গ্যাসের উপাদান দিয়েছিল যুক্তরাজ্য!

ঢাকা: সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের ওপর বিষাক্ত সারিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ এনে দেশটিতে হামলা চালাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে সমর্থন রয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের।

কিন্তু এই সারিন গ্যাস তৈরির উপাদান সিরিয়া পেয়েছিল যুক্তরাজ্য থেকে।

২০০৪ সালের জুলাই ও  ২০১০ সালের মে মাসের মধ্যে ‘সোডিয়াম ফ্লুরাইড’ সিরিয়ার সরকারের কাছে সরবরাহ করেছে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো। ‘সোডিয়াম ফ্লুরাইড’ বিষাক্ত সারিন গ্যাস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

ওই সময়ে দুটি কোম্পানিকে সিরিয়ায় সোডিয়াম ফ্লুরাইড বিক্রি করতে ৫টি ছাড়পত্র অনুমোদন দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।

এই প্রথমবারের মতো সিরিয়াকে সোডিয়া ফ্লুরাইড দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করল ব্রিটিশ সরকার।

আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী বিপজ্জনক কোনো পদার্থ অন্য দেশের কাছে রফতানি নিষিদ্ধ। সিরিয়াকে সোডিয়াম ফ্লুরাইড সরবরাহকে অনেকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে। যুক্তরাজ্যের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সমালোচকরা।

এমন সময় সিরিয়ার কাছে সোডিয়াম ফ্লুরাইড বিক্রি করা হয়েছিল যখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ করছে-এমন সন্দেহ জোরালোভাবে দানা বেঁধেছিল।

ব্রিটিশ কোম্পানি দুটির দাবি, তারা সিরিয়ার একটি কসমেটিকস কোম্পানিকে সোডিয়াম ফ্লুরাইড সরবরাহ করেছিল। বিধিসম্মত উদ্দেশ্যের জন্যই কোম্পানিটি তাদের কাছে সোডিয়াম ফ্লুরাইড কিনেছিল।

কিন্তু গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞরা বলছে, প্রেসিডেন্ট বাশারের সরকার কোম্পানির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে সোডিয়াম ফ্লুরাইড।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অস্ত্র রফতানি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কমিটির সদস্য থমাস ডকেট্রি বলেছেন, সিরিয়াকে সোডিয়াম ফ্লুরাইড সরবরাহ সম্পর্কে প্রকাশিত তথ্য খুবই বিব্রতকর।

তিনি বলেছেন, তারা জানতেন, যে রফতানি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল তাতে কোনো রাসায়নিক সরবরাহ করার বিষয়টি ছিলনা। কিন্তু সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় জানতে পারছি যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো সরকারের সমর্থন নিয়ে সিরিয়াকে সম্ভাব্য মরণাস্ত্র পদার্থ সরবরাহ করেছে।

ব্রিটিশ এ মন্ত্রী আরও জানান, ২০১০ সালের মে মাসে সর্বশেষ লাইন্সেস ইস্যু করা হয়েছিল পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার ‍চার থেকে পাঁচ মাস আগে।

তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি।

২০১২ সালেও সিরিয়ায় পণ্য সরবরাহে কয়েকটি কোম্পানিকে ছাড়পত্র দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। তবে এসব পণ্যের তালিকায় রাসায়নিক কোনো পদার্থ নেই বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৩
এসএফআই/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।