ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতে স্বাক্ষরতার তালিকায় শীর্ষে ত্রিপুরা

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৩

আগরতলা (ত্রিপুরা): দেশের মধ্যে স্বাক্ষরতার নিরিখে প্রথম স্থান ত্রিপুরার। রোববার আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসের অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

মানিক সরকার জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় এখন স্বাক্ষরতার হার ৯৪.৬৫ শতাংশ। যা গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আগস্ট মাসে পুরো দেশে সর্বশেষ যে সমীক্ষা চলে তাতেই বেড়িয়ে এসেছে এই তথ্য।

ত্রিপুরার পরেই রয়েছে কেরালা। কেরালায় স্বাক্ষরতার হার ৯৩.৫৬ শতাংশ। এতো দিন পর্যন্ত দেশের মধ্যে স্বাক্ষরতার নিরিখে দেশের প্রথম স্থানে ছিল কেরালা। এবার কেরালাকে হটিয়ে সে জায়গায় চলে এলো ত্রিপুরা।

২০১১ সালেই ত্রিপুরায় স্বাক্ষরতার হার ছিল ৮৭ শতাংশ। ২০১১ সালে ত্রিপুরা ছিল স্বাক্ষরতার ক্ষেত্রে পঞ্চম। দুবছরের মধ্যেই পঞ্চম স্থান থেকে ত্রিপুরা উঠে এলো প্রথম স্থানে।

রোববার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। এই উপলক্ষে আগরতলার শিশু উদ্যানে হয় সমাবেশ। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা দেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুসারে যদি কোনো রাজ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাক্ষর হন তবে সেই রাজ্যকে পূর্ণ স্বাক্ষর রাজ্য হিসাবে ধরে নেয়া যাবে। সেই হিসাবে ত্রিপুরাকেও পূর্ণ স্বাক্ষর রাজ্য।

তিনি জানান, ২০১১ সালে যখন রাজ্যের স্বাক্ষরতার হার ৮৭ শতাংশ ছিল তখনই ত্রিপুরাকে পূর্ণ স্বাক্ষর রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করা যেত।

কিন্তু তখন রাজ্য সরকার ভেবেছিল ত্রিপুরার স্বাক্ষরতার হার আরও বাড়ানো যায় কিনা সে চেষ্টা করার জন্য। তাছাড়া সেসময় রাজ্যের ধলাই জেলাতে নারীদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার খুব কম ছিল।

রাজ্যের ওই জেলাটি জঙ্গি প্রভাবিত ও দুর্গম বলে পরিচিতি। সেই জেলাতে স্বাক্ষরতার হার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে সাফল্যও এসেছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১১ সালে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে রাজ্যে নিরক্ষর রয়েছেন ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৩৪ জন। এবার সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ওই নিরক্ষর সংখ্যার ৯৩.৫৬ শতাংশকে গত দু বছরে স্বাক্ষরজ্ঞান করা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৩
এসএফআই/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।