আগরতলা (ত্রিপুরা): শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরার কংগ্রেস ভেঙেই গেল। রোববার বিকেলে কলকাতায় ত্রিপুরা কংগ্রেসের সাবেক তিনমন্ত্রীসহ শীর্ষ ৬ নেতা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে গুঞ্জন চলছিল ত্রিপুরা কংগ্রেসের ভাঙন নিয়ে। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটলে শীর্ষ এ সাত নেতার কংগ্রেস ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে।
কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে কংগ্রেস নেতারা তৃনমূলে যোগ দেন। এদিন যারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক তিন মন্ত্রী সুরজিত দত্ত, রতন চক্রবর্তী এবং জহর সাহা। এছাড়া অন্য তিন নেতাও এদিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দেন। তারা হলেন প্রফুল্ল দেবনাথ, তফাজ্জল হসেন, প্রদীপ সরকার।
এই নেতাদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ উত্তর সংবাদ সম্মেলনে মুকুল রায় বলেন, এই নেতারা যোগ দেয়ায় ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী হবে এবং প্রকৃত বামবিরোধী শক্তি হিসাবে ত্রিপুরায় আত্মপ্রকাশ করবে তৃণমূল।
মুকুল রায় অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় বর্তমান কংগ্রেস নেতারা সিপিএমের সাথে এক হয়ে রাজনীতি করছে।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রতন চক্রবর্তী বলেন, কংগ্রেস ছাড়ায় কোনো দুঃখ নেই তার। তার বুক ভরে আছে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পেরে।
তিনি বলেন, তৃণমূল ত্রিপুরায় প্রকৃত বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসবে।
রতন চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন।
কয়েক দিন আগেই তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত ঘুরে গেছিলেন রাজ্যে। তিনি এসে কথা বলে যান রাজ্যের বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সাথে। তিনি চলে যাবার পরই কংগ্রেসের ভাঙ্গন নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসেই হয়ে গেছে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। নির্বাচনের পূর্বে কংগ্রেস বেশ আশা জাগিয়ে প্রচার শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসে নি। বরং গতবারের আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
বিশেষজ্ঞদের মত, অন্তত তিনটি আসন কংগ্রেস হারিয়েছে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে। নির্বাচনের প্রাক মুহূর্ত থেকেই প্রবল গোষ্ঠী কোন্দল ঝাঁকিয়ে বসে কংগ্রেসে। নির্বাচন শেষে শোচনীয় পরাজয়ের মধ্যেও কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল ফুরিয়ে যায় নি। গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই ভেঙ্গে গেল ত্রিপুরার কংগ্রেস।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৩
এসএফআই/জিসিপি