কলকাতা: বন্যায় প্লাবিত হোল পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় প্লাবিত হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা।
ডিভিসি‘র তরফে জানানো হয়েছে- মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দুর্গাপুর থেকেও জল ছাড়তে ডিভিসি বাধ্য হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে এই জল ছাড়ায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে নামানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল । পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ঝাড়খণ্ডের গালুডি থেকে জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের খানাকুল, আমতা, উদয়নারায়ণপুরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পাওলিনের প্রভাবে নিম্নচাপের জন্য প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির জল জমায় জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার বাধ্য হবার অন্যতম কারণ।
পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হয়েছে ৮০ হাজার কিউসেক জল। ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে মাইথন থেকে।
ডিভিসির জল ছাড়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে হুগলির খানাকুল, আরামবাগের নদী তীরবর্তী এলাকায়। ইতোমধ্যেই আরামবাগের সালেপুর থেকে দুশো পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার রাধবন এলাকায় সিলাইবাসকি নদীর জল ঢুকছে।
এদিকে ঝাড়খণ্ডে রাতের দিকে বৃষ্টি কম হওয়ায় ঝাড়খণ্ড লাগোয় জেলা গুলিতে প্লাবনের আশঙ্কা কমলেও সোমবার রাতে গালুডির ছাড়া জলে দাঁতনের কুড়িটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জল বেড়েছে দ্বারকেশ্বর, কংসাবতী, ভৈরোবাঁকি, শিলাবতী, শালি বাঁকুড়ার পাঁচটি নদীতেই।
ঝাড়খণ্ডের জলে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুরের কিছু অংশ প্লাবিত। অন্যদিকে, দক্ষিণ বিহার ও ঝাড়খণ্ডে নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতাতেও বৃষ্টি চলবে বলে জানানো হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি না কমলে পশ্চিমবঙ্গের আরও বেশকিছু এলাকা বন্যার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৩
ভিএসএস, এসএস/জেসিকে