ঢাকা: জাপানে টাইফুন উইফার আঘাতে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশটির রাজধানী টোকিওর ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে ইজু ওশিমা দ্বীপে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
টাইফুনে এখনও ৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। সর্বশেষ দুই কিশোরকে সমুদ্র সৈকতের কাছে দেখা গিয়েছিলো।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ভেতরেই পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাকি দুটি মরদেহ নদীর পাশে পাওয়া গেছে।
টোকিওতে বিমানের ফ্লাইট ও বুলেট ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। কিয়োদো সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, টোকিওতে প্রায় ৪শ’র মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টাইফুনের কারণে ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হাজারখানেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার প্রধান পূর্বাভাষবিদ হিরোউকি উচিদা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১০ বছরের মধ্যে টোকিওর কান্টো অঞ্চলে আঘাত হানা এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। ’
টাইফুনটির প্রভাবে ইজু ওশিমা দ্বীপে ঝড়ো হাওয়াসহ রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার সকালে একঘণ্টায় ১২২ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, টাইফুনটি দিনের শেষে উত্তরপূর্ব দিকে সরে যাবে। আশঙ্কা করা হয়েছিলো, টাইফুনটি ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৩/আপডেটেড: ১৩৩৫ ঘণ্টা
কেএইচকিউ/জেসিকে