ঢাকা: ফের বুঝি বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে বাকিংহাম প্যালেসে! ব্রিটেনের রাজপুত্র হ্যারির বিয়েটা হয়তো আর ঝুলে থাকছে না। শিগগিরই গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছেন হ্যারি।
দেখতে দেখতে বয়স কম হলো না। ২৯ বছরে পা দিয়েছে ডায়ানামৃত্যুতে মাহারা হওয়া ছোট্ট শিশুটি। আর ক্রেসিডার বয়স ২৪। ২০১২ সালের মে মাসে কাজিন সিস্টার প্রিন্সেন এগুইনির মাধ্যমে পরিচিত হওয়ার পর থেকে ক্রেসিডার সঙ্গে ডেটিং চলছে রাজপুত্রের ১৭ মাস ধরে। এবার যে বিয়ে নিয়েই ভাবনা চলছে সে ধারনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে সব মহলে। আর এ কথাগুলো যারা ছড়াচ্ছে তারা বলছে, ‘উইল ইউ ম্যারি মি’র প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত হয়েই গেছে এখন প্রিন্স হ্যারির মনজুড়ে একটাই ভাবনা বিশেষ এই ক্ষণটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজনটি কেমন হবে।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য প্রিন্স হ্যারির প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। হ্যারির প্রথম প্রেম ছিল চেলসা ডেভি। পাঁচ বছর টিকেছিল প্রণয়। সেই প্রেম নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যম সব সময়ই সরব ছিল।
তবে ক্রেসিডার বিষয়টি আলাদা। নভেম্বরেই হাঁটাপথে দক্ষিণ মেরুর শেষ সীমায় পৌঁছানোর কর্মসূচি চূড়ান্ত রয়েছে হ্যারির। সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ নিতে তার দিন কাটছে আইসল্যান্ডে। সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে সেখানে রীতিমতো দেশটির প্রেমে পড়ে গেছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র। সুতরাং প্রেমের দেশেই প্রেমিকাকে প্রস্তাবটি পারবেন এমন একটি পরিকল্পনা জোরদার হয়েই ঘুরপাক খাচ্ছে হ্যারির মনে। জানা গেছে, ক্রেসিডাকে নিয়ে বিখ্যাত আইস হোটেলে তুলে সেখানেই বিখ্যাত নর্দার্ন লাইটসের নীচে দাঁড়িয়ে বিশ্বখ্যাত সেই বাক্যটি উচ্চারণ করবেন হ্যারি। আর তিনি অবধারিতভাবেই জানেন, ঠিক সেটাই পছন্দ করবেন ক্রেসিডা। ভেতরের এতসব কথা ভেতরকারদেরই বরাত দিয়ে ছেপেছে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন হিট ওয়াল্র্ড।
পুরো ঘটনাটি নতুন বছরে পা দেওয়ার আগেই ক্রিসমাসের দিনগুলোতে ঘটে যেতে পারে বলে মনে করছে সূত্রগুলো।
গত সেপ্টেম্বর খবর বেরিয়েছিলো নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি যার যার পারিবারিক পর্যায়ে আলোচনা করেছেন হ্যারি ও ক্রেসিডা।
হ্যারির বড়ভাই প্রিন্স উইলিয়াম তার স্ত্রী ক্যাথরিনকেও এমনি করে আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের ঘোষণার আগে মাস কয়েক সময় দিয়েছিলেন। পরে ২০১০ সালে তাদের বিয়ে করার ঘোষণা আসে। হ্যারিও তার ভাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন বলেই জানাচ্ছে মিডিয়াগুলো।
অন্যদিকে হ্যারি ও ক্রেসিডার বন্ধুদের একজন ব্রিটিশ ম্যাগাজিন হিটওয়ার্ল্ড’কে জানায়, হ্যারি এখনও তাকে প্রস্তাব দেয়নি তবে এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এক সময় মনে হয়েছিল চেলসি ডেভিকে এখনও ভুলতে পারেননি হ্যারি। সে সম্পর্ক ভাঙনের পর নতুন করে সম্পর্কে জড়ানোর জন্য প্রস্তুতও ছিলেন না তিনি। কিন্তু ক্রেসিডার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তার মনে হয়েছে হয়তো সেই তার স্বপ্নের রাজকুমারী।
অন্যদিকে, হ্যারির সঙ্গে ক্রেসিডার সম্পর্ক এখন মিডিয়ার আকর্ষণে পরিণত হওয়ার কারণে ক্রেসিডা এখন চান ক্যামেরার চোখ এড়িয়ে যতটা সম্ভব সময় হ্যারির সঙ্গে একান্তে কাটানো যায়। তবে বন্ধুরা বলছে ইদানিং হ্যারির বাসার যাতায়াত প্রায়ই হচ্ছে ক্রেসিডার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৩
কেএইচ/জিসিপি