ঢাকা: কেনিয়ার প্রতিটি গণ্ডারের শিংয়ে লাগানো হবে মাইক্রোচিপ। গণ্ডার শিকার ও পাচার রোধ করতেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পাচার হতে হতে কেনিয়ায় এখন এক হাজারের কিছু বেশি গণ্ডার রয়েছে।
অনেকে বলছেন, প্রতিটি গণ্ডারকে ধরে মাইক্রোচিপ লাগানোর ব্যয়টা অনেক বেশি হবে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, তাদের এ উদ্যোগ পাচারকারী বা শিকারীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে। গণ্ডারের শিং পাচারের ও পাচারকারী চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে এ মাইক্রোচিপ।
হাতের নখের মতো চিপগুলো গণ্ডারের শিংয়ে লাগানো হবে।
কেনিয়ায় উইল্ডলাইফ সার্ভিসের মুখপাত্র পল উদোতো বলেন, পাচারকারীরা খুব সুক্ষ্মভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই বন্যপ্রাণী হত্যা রোধে খুবই সুক্ষ্ম প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োগ খুবই জরুরি।
আফ্রিকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্যপ্রাণী পাচার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। প্রায় ৬৬০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের বন্যপ্রাণী পাচার হয়েছে মহাদেশটি থেকে।
এশিয়ার বাজারে গণ্ডারের শিংয়ের চাহিদা বেশি। অতি মূল্যের লোভ সামলাতে না পেরে পাচারকারীরা গণ্ডারের শিং আফ্রিকা থেকে এশিয়ার বাজারে পাচার করছে।
২০০৭ সালের পর থেকে গণ্ডারের মৃত্যু বেড়েছে তিন হাজার শতাংশ। গত আগস্টে গুলি করে নাইরোবির জাতীয় পার্কে দুলর্ভ সাদা রংয়ের একটি গণ্ডারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চলতি বছরে এটি ছিল নাইরোবির জাতীয় পার্কে গণ্ডার হত্যার ৩৫তম ঘটনা। ২০১২ সালে ২৯টির বেশি গণ্ডার হত্যা করা হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গণ্ডার হত্যা রোধে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। গণ্ডারের মতো হাতির দাঁতের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আফ্রিকায় হাতি নিধনও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৩
এসএফআই/জিসিপি