কলকাতাঃ আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। ধন-সম্পদ, শস্য এবং সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করছেন গোটা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষ।
ঘরে ঘরে প্রস্তুত করা হয়েছে দেবীর আসন । বসান হয়েছে লক্ষ্মী প্রতিমা। তার সামনে সাজান হয়েছে পূজার উপচার। কোথাও মূর্তিতে কোথাও পটে এই পূজা করা হয়ে থাকে।
কোজাগরী পূর্ণিমাতে পশ্চিমবঙ্গে দেবী লক্ষ্মী, বিহারে কোজাগারাহ, গুজরাটে শারদ পুনম এবং কুমার পুনম উড়িষ্যাতে গজলক্মী পূজা ইত্যাদি নামে এই উৎসব উদযাপন করা হয়।
হিন্দু পুরাণে কোজাগরী পূর্ণিমাকে মূলত পূর্ণ চাঁদের দিনে ফসলের উৎসব বলে বর্ণনা করা আছে। ভারতের নানা জায়গায় কেন্দ্রপারা বা ধনলক্মী নামেও এই উৎসব উদযাপন করা হয়ে থাকে।
সংস্কৃতে কোজাগরী শব্দের অর্থ কো-জাগরী অর্থাৎ “যে জেগে আছেন”। মনে করা হয়- সদা জাগ্রত মানুষরাই লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেয়ে থাকেন।
হিন্দু পুরাণের মতে বিষ্ণু দেবতার স্ত্রী লক্ষ্মী। তিনি বিষ্ণুর শক্তির উৎসও বটে। রামায়নে বলা আছে বিষ্ণু অবতার রাম যখন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন তখন দেবী লক্ষ্মী সীতা রূপে শ্রী রামকে শক্তি জুগিয়েছেন।
বিষ্ণু অবতার শ্রী কৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, রুক্মিণী এবং সত্যভামা রূপে দেবী লক্ষ্মীর মর্ত আগমনের কথা হিন্দু পুরাণে বলা আছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
যদিও লক্ষ্মী পূজার আগেই বাজারে বিভিন্ন জিনিষের অগ্নিমূল্য অবস্থা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে। তবুও উৎসাহের ঘাটতি পড়েনি গৃহস্থদের।
আগুন মূল্যের বাজার দরে নাভিশ্বাস ওঠা হেঁসেল আর বিশ্ব জোড়া মন্দার ধাক্কায় দেশের দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে জনগণ একমাত্র উপায় হিসেবে করজোড়ে মুক্তির প্রার্থনা করছেন দেবী লক্ষ্মীর চরণ তলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৩
ভিএস/এসএস/জিসিপি