কোলকাতা: উত্তর প্রদেশের উন্নাও জেলার রাজা রাম বক্সের দুর্গে খনন কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।
শুক্রবার সকালে এই কাজ শুরু করে আরকিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ১০ কর্মী।
উৎসাহীদের সরাতে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয়েছে বলেও জানা গেছে।
আরকিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই খনন কাজ শেষ করতে নূন্যতম এক মাস সময় লাগবে।
এদিকে, বিতর্ক পিছু নিয়েছে গুপ্তধনের দাবিদার নিয়ে। অনেকেই নিজেদের রাজা রাম বক্সের বংশধর বলে দাবি করছেন। শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে এই খনন কাজ করার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যদিও একজন সন্ন্যাসীর স্বপ্নের ভিত্তিতে এই বিরাট ব্যয়বহুল খনন কাজ করার যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বহু মানুষের সমাগমে দুর্গের কাছাকাছি অঞ্চলের বেশ কিছু চাষের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরকারের একজন সন্ন্যাসীর স্বপ্নের ভিত্তিতে এই বিরাট ব্যয়বহুল পদক্ষেপের সমালচনা শুরু হয়েছে সামাজিক সাইটগুলোতে।
তবে ভারতে গুপ্তধনের জন্য দুর্গে খনন কাজ এই প্রথম নয়। ১৯৭৬ সালেও ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর উদ্যোগে ভারতের জয়পুরে জয়গড়ে সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিংয়ের দুর্গ খনন করা হয়েছিল।
ধারণা করা হয়, মান সিং আফগানিস্তানের সুলতান গজনীকে পরাজিত করে প্রচুর ধন সম্পত্তি জয়গড় দুর্গে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
৬ মাস ধরে খনন করার পর সেই জায়গা থেকে বিশেষ কিছু উদ্ধার হয়েছিল বলে জানা যায়নি।
তবে এই ১০০০ টনের বিরাট গুপ্তধনের সত্য জানতে উৎসাহী গোটা দেশের মানুষ। ভারতের বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি এই খনন দেখানো হচ্ছে।
আরকিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষে পুরো খনন কাজের ভিডিও করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে দেশজুড়ে যতই উৎসাহ-উত্তেজনা থাক ১ মাসের আগে সত্য জানার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের শোভান শঙ্কর নামের এক সন্ন্যাসী রাজ্য প্রশাসনের কাছে দাবী করেন রাজ্যের উন্নাও জেলার দাউদিখেরা গ্রামে রাজা রামবক্স-এর দুর্গের মধ্যে পোঁতা আছে ১০০০ টন সোনা।
সন্ন্যাসী জানান তিনি স্বপ্নে দেখেছেন প্রাচীন কালের মহারাজা রামবক্স তাকে নির্দেশ দিয়ে বলছেন সমস্ত গুপ্তধন সরকারের হাতে তুলে দিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৩
ভিএস/এএইচএস/এমজেডআর