ঢাকা: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সাবেক স্বৈরশাসক মামুন আবদুল গাইয়ুমের সৎ ভাই ও প্রগেসিভ পার্টির (পিপিএম) প্রার্থী আবদুল্লাহ ইয়ামিনের কাছে পরাজয় স্বীকার করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) প্রার্থী মোহাম্মদ নাশিদ।
তৃতীয় দফা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর প্রাপ্ত ফলাফলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শনিবার রাতে রাজধানী মালেতে সাংবাদিকদের নাশিদ বলেন, অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আমি পরাজয় স্বীকার করছি।
তিনি বলেন, আর পিছু ফেরা নয়। এবার দেশকে শান্তির পথে এগিয়ে নেওয়া দরকার। এখনই সময় দেশে শান্তি ফেরানোর।
উল্লেখ্য, শনিবারের তৃতীয় দফা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, পিপিএম নেতা ইয়ামিন ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আর এমডিপি নেতা নাশিদ পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট।
এর আগে, প্রথম দফা নির্বাচনে নাশিদ প্রায় ৪৭ শতাং ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট প্রয়োজন বিধায় দ্বিতীয় দফা শেষে তৃতীয় দফায়ও ভোটগ্রহণ করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশি অভ্যুত্থানে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের পদত্যাগের পর ক্ষমতাগ্রহণ করেন ওয়াহিদ। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার কথা থাকলেও প্রায় দু’বছর ক্ষমতা আকড়ে রাখেন ওয়াহিদ।
তবে, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় ওয়াহিদের কঠোর সমালোচনা করে মালদ্বীপকে আন্তঃসরকার সহযোগিতামূলক সংস্থা কমনওয়েলথ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করে গত বৃহস্পতিবারই দেশত্যাগ করেন ওয়াহিদ।
সংবাদ মাধ্যমগুলা বলছে, ওয়াহিদের প্রভাবমুক্তির কারণেই তৃতীয় দফায় চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে