ঢাকা: দীর্ঘ দুই বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর মালদ্বীপের নতুন গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাবেক স্বৈরশাসক মামুন আবদুল গাইয়ুমের সৎ ভাই ও প্রগ্রেসিভ পার্টির (পিপিএম) নেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিন।
রোববার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেশটির ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি আহমদ ফায়েজ।
শপথগ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাষণ দানকালে ইয়ামিন জানান, বিশ্বের পর্যটকদের সবচেয়ে আকর্ষণের দ্বীপপুঞ্জ মালদ্বীপের উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করার জন্য কাজ করবেন তিনি।
ইয়ামিন বলেন, আমি মালদ্বীপের জনগণের নিরাপত্তা ও এ অঞ্চলে মালদ্বীপিয়ানদের উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কাজ করবো। এছাড়া, এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে।
ইয়ামিনের শপথ গ্রহণের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ ও মাওমুনও উপস্থিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র ইমাদ মাসুদ জানিয়েছেন, শপথগ্রহণের এই অনুষ্ঠানে ৫০ জন সংসদ সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
শনিবারের তৃতীয় দফা নির্বাচনে প্রায় অবিশ্বাস্যভাবে জয়লাভ করেন পিপিএম’র প্রার্থী ইয়ামিন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, প্রথম দুই দফা নির্বাচনে এগিয়ে থাকা ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপিএম) প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের চেয়ে প্রায় তিন শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেন তিনি। নাশিদ পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ভোট, অন্যদিকে ইয়ামিন পেয়েছেন ৫১ দশমিক ৩৯ শতাংশ ভোট।
রোববার সকালে ইয়ামিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ফলাফল নিশ্চিত করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফুয়াদ তৌফিক ঘোষণা করেন, তৃতীয় দফা নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক ভোট পড়েছে। এতে এক লাখ ১১ হাজার ২০৩ ভোট লাভ করেছেন ইয়ামিন। অন্যদিকে, নাশিদ লাভ করেছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ১৮১টি ভোট।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট পদে ইয়ামিনের ক্ষমতাগ্রহণের মধ্য দিয়ে মালদ্বীপের টানা দুই বছরের রাজেনৈতিক অচলাবস্থার ইতি ঘটলো। ২০১২ সালে এক পুলিশ বিদ্রোহে মোহাম্মদ নাশিদ প্রেসিডেন্ট পদ ত্যাগ করার পর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্ষমতা আকড়ে রাখেন পুলিশসমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওয়াহিদ।
তবে আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করে বৃহস্পতিবার দেশত্যাগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৩
এইচএ/জেসিকে