ঢাকা: রাজতন্ত্রের অবসানের পর দেশের সংবিধান প্রণয়নে একের পর এক বিলম্বিত হওয়ায় নতুন সাংবিধানিক সভা নির্বাচনে নেপালে ভোটগ্রহণ চলছে।
২০০৬ সালে মাওবাদীদের সঙ্গে সরকারের যুদ্ধের সমাপ্তির পর দ্বিতীয়বারের মতো মঙ্গলবার সাংবিধানিক সভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন নেপালিরা।
এদিকে ভোট কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পরপরেই রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিস্ফোরণে তিন জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
দেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো সাংবিধানিক সভার নির্বাচন হয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংবিধান প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হন। একাধিকবার সংবিধানের খসড়া প্রস্তুতের সময়সীমা বেঁধে দিলেও কাজ হয়নি।
সবশেষ সময়সীমা ছিল ২০১২ সালের ২৭ মে। কিন্তু এর আগেই নেপালে সরকার ও বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী নানা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। দেশে শান্তি বজায় রাখতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সংবিধান প্রণয়নের শেষ সময়সীমা পেরিয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর সাংবিধানিক পরিষদের নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করে।
নির্বাচনে লড়ছে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওইস্ট), নেপালি কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফাইড মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট-ইউএমএল)।
২০০৮ সালের নির্বাচনে পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচন্দের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল নির্বাচিত ৬০১ আসন বিশিষ্টি সাংবিধানিক সভার নির্বাচিত ৫৭৫ আসনের মধ্যে ২২০টি আসন পেয়ে প্রথম হয়। এককভাবে সরকার গঠনে ৩০১ আসন না পাওয়ায় জোট সরকার গঠন করতে হয় প্রচন্দকে।
২০০৯ সালে সেনাপ্রধানকে সরানো ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় প্রচন্দকে সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
২০০৮ সালে নির্বাচিত সাংবিধানিক পরিষদের সদস্যদের দু বছরের মধ্যে সংবিধান প্রণয়নের কথা ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৩
এসএফআই/বিএসকে