ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জেলে থেকেও নির্বাচন করা যাবে ভারতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৩
জেলে থেকেও নির্বাচন করা যাবে ভারতে

কলকাতা: প্রার্থীরা কারাগারে থেকেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।



দেশটির শীর্ষ আদালত মনে করছে, শুধুমাত্র পুলিশ হেফাজতে থাকার জন্য কাউকে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে না দেওয়া উচিত নয়।

অর্থাৎ ১০ জুলাই কেন্দ্র সরকারের জারি করা সংশোধনীতে সম্মতি জানালো সুপ্রিম কোর্ট।

‘রিপ্রেজেনটেশন অফ পিউপিল অ্যাক্ট` অনুযায়ী জেলে থেকে নির্বাচনে লড়তে পারবেন না রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা।

অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংসদ সদস্য, বিধায়কদের আইনি নিরাপত্তা দেওয়াতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে এও জানায় অভিযুক্তদের সংসদ সদস্য ও বিধায়ক পদ খারিজ করতে হবে।

এদিন শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত পদাধিকার বজায় থাকবে অভিযুক্ত সংসদ সদস্য ও বিধায়কদের।

কেন্দ্রকে ফের নোটিশ

সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক হবে কেন? এনিয়ে কেন্দ্রকে ফের নোটিশ ধরালো সুপ্রিম কোর্ট। এই ইস্যুতে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছে।

রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি পেতে হলে ইতোমধ্যেই আধার কার্ড বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এনিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

নিজের পর্যবেক্ষণে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, কোনও সরকারি সুবিধা পেতে হলে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়।

এবার ফের একই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠানো হলো। আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হলেও এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের হাতে পৌঁছায়নি এই কার্ড।

চিট ফান্ডের রমরমা আটকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত? কীভাবে এগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তারই পথ খুঁজতে এবার কেন্দ্রীয় সরকার, আরবিআই, সেবিকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।

ব্যাংকগুলিতে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া আরও সহজ-সরল করা জরুরি। তাহলে বহু সাধারণ মানুষ চিটফান্ডের খপ্পর থেকে রক্ষা পাবেন।  

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সারদা কাণ্ড নিয়ে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের তরফে এই বক্তব্য পেশ করেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। হিউম্যানিটি নামে ওই সংস্থার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমের এজলাসে।

সারদার মতো চিট ফান্ডগুলির রমরমা আটকাতে একটি নির্দিষ্ট মনিটরিং এজেন্সি গঠন করার আবেদন জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। দাবি তোলা হয়েছে সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তেরও। চার সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৩
এসএস/এএ/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।