ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আফগানিস্তানের ২০১৪ পরবর্তী নিরাপত্তাচুক্তি স্বাক্ষরের সময়সূচি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বছরের শেষের দিকেই এ চুক্তি হতে হবে বলে জানিয়েছিল।
এ সময়সূচিকে প্রত্যাখান করেছে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষর দীর্ঘায়িত করা বাস্তবসম্মত নয় আবার তা সম্ভবও নয়।
বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের কাবুলে লয়া জিরগায় দেশটির জ্যেষ্ঠ উপজাতীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত চার দিনের মহাসম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে হামিদ কারজাই বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে না।
কারজাই মহাসম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের এ নিরাপত্তা চুক্তির অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, চুক্তিটি সই হলে ১০ থেকে ১৫ হাজার বিদেশি সেনা আফগানিস্তানে থাকতে পারবে।
বিদেশি সেনা বলতে মার্কিন সেনা ছাড়াও ন্যাটোসহ অন্যান্য দেশের সেনাদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অবশ্য এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তিনি বলেন, রাশিয়া, চীন ও ভারত ছাড়াও বিশ্বে অন্যান্য নেতারা এ ব্যাপারে সমর্থন দেবে। আর এ নিরাপত্তা আফগানিস্তানের দরকার।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাকে বিশ্বাস করে না। আমিও তাদের বিশ্বাস করি না। আমাদের মধ্যে আস্থার অভাব রয়েছে। তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তবুও আফগানিস্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে এ চুক্তি করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর অবশ্যই এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এটি সংসদে পাশ হতে হবে।
২০১৪ সালের এপ্রিলে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দু’দফায় প্রেসিডেন্ট থাকার কারণে এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না কারজাই।
আগামী বছরই ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনীর আফগানিস্তান ছাড়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৩
কেএইচকিউ/বিএসকে