ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শুক্রবার বিকেলেই অন্ধ্রপ্রদেশে হেলেনের আঘাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৩
শুক্রবার বিকেলেই অন্ধ্রপ্রদেশে হেলেনের আঘাত

ঢাকা: ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেওয়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হেলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শুক্রবার বিকেলের দিকেই প্রদেশটির উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানবে হেলেন।

তবে হেলেনের তীব্রতা পাইলিনের চেয়ে কম।

ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কয়েকটি জায়গায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে অন্ধ্রপ্রদেশের মাচিল্লিপত্তম অতিক্রম করতে পারে।

শুক্রবার সকাল থেকেই বিশাখাপত্তমের কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবাড়িসহ প্রদেশটির কয়েকটি উপকূলীয় জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আইএমডি শুক্রবার সকালে এক বুলেটিনে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম উত্তরপশ্চিম দিক থেকে সরে গিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মাচিল্লিপত্তম থেকে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ১২০ কিলোমিটার পূর্বে, অঙ্গল থেকে ২৫০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে ও বিশাখাপত্তম থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, হেলেনের অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ দক্ষিণপশ্চিমে ও মংলা বন্দর থেকে ১ হাজার ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র থেকে ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে একটামা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ কিলোমিটার যা ঝড়ো হাওয়াসহ ১১০ কিলোমিটার গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ উপকূলবর্তী নিচু জেলাগুলোতে জলোচ্ছাস সতর্কতা দিয়েছে। বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিচু এলাকাগুলো এক থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে ।

নিচু এলাকাগুলো থেকে ২৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সব উপকূলীয় বন্দরে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ তৎপরতা বাহিনীর কয়েকটি দল ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নেলর ও পরকাসম জেলায় অবস্থান নিয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ওই অঞ্চলে ছয়টি দল পাঠিয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের ১ হাজ়ার কিলোমিটার দীর্ঘ তটরেখা ও নয়টি জেলা প্রতিবছরই ঘূর্ণিঝড়ের হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষত সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে এ হুমকির মাত্রা বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৩
কেএইচকিউ/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।