লন্ডন: সমুদ্রের তলে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ যা আছে তাও হারিয়ে যেতে বসেছে। সুপারবাগ বা এক ধরনের দৈত্যাকার সামদ্রিক কীট জাহাজটির দেহ খাচ্ছে।
কখনোই ডুববে না বলে ভাবা হয়েছিল। তবে শত বছর আগে বিশাল বরফখ-ের সঙ্গে সংঘর্ষে সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায় এ জাহাজটি। আর এখন সমুদ্রের তলে থাকা ধ্বংসাবশেষও হারিয়ে যাওয়ার পথে।
পানির নিচের কীটের খাদ্যে পরিণত হওয়ায় একদিন এর আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন সন্ধান পাওয়া এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জাহাজটির লোহা খেয়ে ফেলছে বলে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন। ফলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিশাল এ জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অদৃশ্য হয়ে যাবে।
১৯১২ সালে দু’ভাগে ভাগ হয়ে সমুদ্রের প্রায় আড়াই মাইল গভীরে তলিয়ে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হালমোনাস টিটানিসে নামের ব্যাকটেরিয়া জাহাজটির ৫০ হাজার টন লোহা নিঃশেষ করে ফেলেছে। এ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে টাইটানিক পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।
কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড হেনরিয়েটা ম্যান ও ভবলিন কৌর এবং স্পেনের সেভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা টাইটানিকে কীট আক্রমণের বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন।
জনপ্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ম্যান বলেন, ‘আর ১৫ থেকে ২০ বছর টাইটানিক বেঁচে থাকবে বলে আমরা ধারণা করছি। এর বেশি আর সময় আছে বলে আমরা মনে করছি না। ’
‘ইতিমধ্যেই এটা শত বছর অতিক্রম করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আটলান্টিকের তলদেশে মরিচার আস্তরণ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। ’
১৯৯১ সালে একদল বিজ্ঞানী জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ থেকে সংগৃহীত মরিচার মধ্যে প্রথম হ্যালোমোনাডাসিয়া গোত্রের আণুবীক্ষণিক এ ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান। এ দলটি ২০ বছর ধরে টাইটানিক নিয়ে গবেষণা করছেন।
আর এ ব্যাকটেরিয়ার লোহা খেয়ে ফেলার ধ্বংসাত্মক এ প্রবণতা শেষ পর্যন্ত বিশাল এ জাহাজকে লোনা পানির গুঁড়াতে পরিণত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১১