জুবা: নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে সাউথ সুদানের ইতিহাসে। স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সে অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রোববার ভোট দিতে শুরু করেছে।
দীর্ঘ ৫০ বছরের সংঘর্ষের পর অবশেষে তার সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। রোববার শুরু হওয়া গণভোটে সে দেশের জনগণ এ সিদ্ধান্ত নেবেন। আর নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে, পৃথিবীর মানচিত্রে সাউথ সুদান নামের ১৯৩তম নতুন দেশের উন্মেষ ঘটতে যাচ্ছে।
নর্থ ও সাউথের যুদ্ধ সমাপ্তির পর করা ২০০৫ সালের শান্তি চুক্তি অনুযায়ী দেশটিতে ৯ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহজুড়ে চলবে গণভোট। গ্রিনিচ মান সময় ০৫০০ টায় শুরু হয়ে প্রতিদিন ভোট গ্রহণ চলবে ১৪০০টা পর্যন্ত।
সাউথ সুদানের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্তে হলিউড তারকা জর্জ কুনি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানসহ বিশ্বের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আন্তর্জাতিক পরিদর্শক হিসেবে সুদানে উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে, সাউথ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির তার দেশের জনগণের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনের বার্তা হচ্ছে, নর্থ সুদানের সঙ্গে সহবস্থানে থাকার কোনো সুযোগ নেই, তাই গণভোটে জয়ী হয়েই শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
তবে, দীর্ঘ দুই দশক ধরে চলা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ২০০৫ সালে থেকে সুদানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির সতর্ক করে বলেন, গণভোটের মাধ্যমে যদি নর্থ সুদান ও সাউথ সুদান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।
উল্লেখ্য, এই গণভোটের মাধ্যমে পৃথিবীতে আরেকটি নতুন রাষ্ট্রের উদ্ভব হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১১