ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রিয়তমার সার্বক্ষণিক নজরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৪
প্রিয়তমার সার্বক্ষণিক নজরে

ঢাকা: প্রেম করছেন অথবা বিয়ে করে সংসারই পেতেছেন। মিষ্টি-দুষ্টুমিতে দিন চলে বলে পুরুষ সঙ্গীটি হয়তো ভেবে থাকতে পারেন তিনি এই জনমেই স্বর্গসুখে আছেন।

কিন্তু গোপন সত্য হলো, নারী সঙ্গীটি আপনার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছেন না। প্রিয়ভাষিণীর গোপন নজরদারিতে থাকতে হচ্ছে পুরুষ সঙ্গীটিকে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক আইন সহায়তা কেন্দ্র ‘স্লেটার অ্যান্ড গর্ডন’ পরিচালিত এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল।

অবিশ্বাস
গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩৬ শতাংশের বেশি নারী তার পুরুষ সঙ্গীটিকে অবিশ্বাসী মনে করেন। এই অবিশ্বাসের কারণে তারা পুরুষ সঙ্গীটির কোনো কথাও সহজে বিশ্বাস করতে চান না। তথ্য-প্রমাণসহ কথা বললেও নারী সঙ্গীটি সে বিষয়েও সন্দিহান থাকেন।

আবার যদি প্রেমিকা বা স্ত্রী পুরুষ সঙ্গীটিকে অবিশ্বাসী মনে করেন, তাহলে ৪০ শতাংশ স্ত্রী বা প্রেমিকাই সম্পর্ক ভেঙে দেন।

কর্মস্থলে ফোন করে অবস্থান নিশ্চিত
যদি বিয়ে করে থাকেন অথবা প্রেম করে থাকেন, তাহলে গোপনে খোঁজ নিয়ে দেখবেন, প্রেমিকা বা স্ত্রী কর্মস্থলে অর্থাৎ অফিসে ফোন করে পুরুষ সঙ্গীটির খোঁজ নিচ্ছেন, তিনি সত্যিই অফিসে আছেন কিনা। যদি অফিসে থেকে নিজেই ফোনটি রিসিভ করে ফেলেন, তাহলে স্ত্রী বা প্রেমিকা বিব্রতবোধ করে একটি সামান্য বিষয়ে কথা বলবেন, যেটা ফোনে না বললেও পারতেন। অথবা চতুর হলে বলবেন, প্রেমিকা বা স্বামীকে মনে পড়েছে বলেই কল দিয়েছেন।

স্লেটার অ্যান্ড গর্ডন’র গবেষকরা বলেন, এই চরিত্রের নারীর সংখ্যা ১০ শতাংশেরও বেশি।

ইন্টারনেট কার্যক্রমে নজরদারি
এটাকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ’র নজরদারি বলা না গেলেও পুরুষ সঙ্গীকে সামনে রেখেই অথবা তার অজ্ঞাতসারেই তার ইন্টারনেট কার্যক্রম, বিশেষ করে ফেসবুকিং, টুইটিং, ব্লগিং এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ কার্যক্রমের হিস্টোরিগুলো চেক করেন স্ত্রী বা প্রেমিকা। সেটা মোবাইল ফোন, আইফোন বা ল্যাপটপ-কম্পিউটারই হোক। এছাড়া, পুরুষ সঙ্গীটি কোন কোন সাইট ভিজিট করেছেন, সেগুলোও চেক করেন স্ত্রী বা প্রেমিকা।

এ ধরনের নারীর সংখ্যা প্রতি ছয় জনে একজন!

স্লেটার অ্যান্ড গর্ডন’র পারিবারিক আইনজীবী কালিল আনোয়ার বলেন, আসলে বিশ্বাস অবিশ্বাসেই মানুষের সম্পর্ক টিকে থাকে।

তিনি বলেন, যেসব প্রেমিক বা স্বামী সত্যিকার অর্থেই তার প্রেমিকা বা স্ত্রীকে ভালোবাসেন, এ ধরনের গবেষণা বা খবর তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু যারা সন্দেহ পোষণ করেন, এই গবেষণা তাদের ওপর হয়তো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সম্পর্ক দৃঢ় হওয়াটাই কাম্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।