ঢাকা: বৃহত্তর নিরাপত্তার স্বার্থেই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি তৎপর হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একইসঙ্গে ইরান বিষয়ে কূটনীতিক সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে যাতে কোনো বাধা না হতে পারে সেজন্য কংগ্রেস বিল উত্থাপন করলে সেখানেও তিনি ভেটো দেবেন বলে জানান।
মঙ্গলবার দেওয়া স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে এ কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কংগ্রেসে নিজের ষষ্ঠ ভাষণে ওবামা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরালো করার এবং সমৃদ্ধির গতি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে কূটনীতিক বিষয়াদির ওপর জোর দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। বিশেষত অর্থনৈতিক খাতে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা উল্লেখ করেন ওবামা।
কংগ্রেসের বার্ষিক ভাষণে ওবামা বলেন, আমরা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও বেশি নজর দেবো, এখানে ফিলিপাইনের মতো দুর্যোগের শিকার আমাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে সহযোগিতা করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির স্বার্থেই এদিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।
পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে সম্প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতৈক্য হয়েছে ইরানের। চুক্তি অনুযায়ী তেহরানের পরমাণু চুল্লিগুলোতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করবে মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী রাষ্ট্রটি। এছাড়া, জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে এসব পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে তেহরান। কূটনীতির এই সাফল্য যাতে মাঝপথে ব্যাহত না হয় সেজন্য কংগ্রেস ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্যে কোনো প্রস্তাব উত্থাপন করলে সেখানে নিজেই ভেটো দেবেন বলে জানান ওবামা।
ওবামা আরও জানান, চলতি বছরেই কিউবায় অবস্থিত গুয়ান্তানামো বে কারাগার স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো বাধা পাশ কাটিয়ে যেতে প্রস্তুত তিনি।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, অবর্ণনীয় নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত কারাগারটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫৫ জন কারাবন্দি রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের চোখে সবচেয়ে বিপজ্জনক চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের এই কারাগারে বন্দি রাখা হয়। বিশেষত, ২০০৩ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযান শুরুর পর আটক ‘সন্ত্রাসী’দের এই কারাগারে বন্দি করা হতে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৪