ঢাকা: চুলকানি অনুভূত হলে বেশ আয়েশ করেই আঁচড়াতে থাকেন আক্রান্ত ব্যক্তি! কিন্তু খানিকবাদেই বোঝা যায় আঁচড়ানোর কী ‘মজা’! খানিক আঁচড়েই একটুখানি চুলকানি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
শরীরের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অনেক জায়গায় বাসা বাঁধে এই অনাকাঙ্ক্ষিত রোগটি।
তবে, এ নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেন্টাল অ্যান্ড ক্র্যানিফোশিয়াল রিসার্চ (এনআইডিসিআর) ও ন্যাশনাল হিউম্যান জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মলিকিউলার জেনেটিসিস্ট বিভাগ।
গত বছরের মে মাসে এ তথ্য আবিষ্কারের পর পরিচালিত গবেষণা শেষে এনআইডিসিআর‘র গবেষক মার্ক হুন জানান, মৃদু ব্যথার অনুভূতিই চুলকানির জন্ম দেয়। কিছু বিশেষ নিউরন এমন একধরনের কেমিক্যাল এনপিপিবি তৈরি করে যার মাধ্যমে চুলকানির অনুভূতি তৈরি হয়।
মার্ক হুন জানান, কিছু ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, শরীর থেকে এনপিপিবি বের করে নেওয়া হলেও তাদের ব্যথা বা গরমের অনুভূতি হয়। কিন্তু চুলকানির অনুভূতি হয় না।
গবেষণা দলের প্রধান হুন জানান, এনপিপিবি উত্পন্নকারী নিউরনের রহস্য আবিষ্কৃত হওয়ায় চুলকানির সমস্যা সমাধানের নতুন রাস্তা খুলে যাবে। এই আবিষ্কার থেকে নতুন ওষুধ তৈরি সম্ভব হবে। সিরোসিস, এগজিমা ও অন্যান্য চুলকানির জন্য কার্যকরী ওষুধ তৈরি করা যাবে এই রহস্য উন্মোচন থেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪