ঢাকা: জার্মানির মিউনিখে ৫০তম নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়ে দেশের চলমান সহিংসতা ও আন্দোলন নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউনিড কোজহারা ও বিরোধী নেতা ভিতালি ক্লিটৎসকো।
বির্তকের এক পর্যায়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোজহারাকে ক্লিটৎসকো শরীরের ক্ষতস্থান দেখান।
তবে বিক্ষোভকারীদের ‘ডানপন্থী চরমপন্থী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোজহারা।
ক্লিটসকো বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাশ কাটিয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা প্রতিরোধ করতে ইউক্রেনের জনগণ নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন ও প্রমাণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, দিন দিনই বিরোধী দল আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কেননা তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন রয়েছে।
শনিবার শুরু হওয়া বাৎসরিক সামরিক ও রাজনৈতিক ইস্যু বিষয়ক মিউনিখ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের প্রথম দিনই ইউক্রেন ইস্যুতে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, ইউক্রেনের গণতন্ত্রের লড়াইকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ অভিযোগ করে বলেছেন, সহিংসতাকে সমর্থন করে পশ্চিমা দেশগুলো দুমুখো অবস্থান নিয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভ্যান রম্পুয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে নিজেদের ঘনিষ্ঠতার প্রস্তাবের কথা স্মরণ করে দেন।
তিনি বলেন, এখন এ প্রস্তাব বিদ্যমান রয়েছে এবং আমরা জানি, সময় আমাদের পক্ষেই রয়েছে। ইউক্রেনের ভবিষ্যত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
রাশিয়াকে বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তি না করায় গত নভেম্বর থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ইউক্রেন উত্তাল হয়ে উঠে।
বিক্ষোভ থামাতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে অপরাধের আওতায় এনে আইন করা হয়। পরে বিক্ষোভের মুখে আইনটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় সরকার। এর আগে বিরোধী দলকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেয়া হয়।
কিন্তু সরকারবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত থাকায় অবশেষে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেন। এ দিকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটিতে গেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ। বিরোধীরা ইয়ানুকোভিচের পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবি করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪