ঢাকা: ভারতের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের দুর্নীতিবাজদের একটি তালিকা করেছেন। এ তালিকায় স্থান পেয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী।
শুধু রাহুলই নন, কংগ্রেস-বিজেপির বাঘা বাঘা নেতারা রয়েছেন কেজরিওয়ালের তালিকায়। বাদ পড়েননি অন্য দলের নেতারাও।
তালিকায় স্থান পাওয়া কংগ্রেসের নেতারা হচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশিল কুমার সিনধে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ, অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, ভীরাপ্পা মইলি, কপিল সিবাল, কমল নাথ, জগন মোহন রেড্ডি এবং বিজেপির নিতীন গড়কড়ি, বিএস যেড্ডিউরাপ্পা, অনন্ত কুমার, অনুরাগ ঠাকুর।
অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির নেতা ও উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শারদ পাওয়ার এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহও রয়েছেন কেজরিওয়ালের তালিকায়।
শুক্রবার আম আদমি পার্টির (এএপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ভারতের শীর্ষ ‘দুর্নীতিবাজ’দের তালিকা প্রকাশ করেন কেজরিওয়াল। বৈঠকে সারা ভারত থেকে ৪০০ প্রতিনিধি অংশ নেন।
বিজেপি ও কংগ্রেস তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, গত পাঁচ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। জনগণ মহা হিসাব নিরীক্ষক-নিয়ন্ত্রক কর্তৃক নিরীক্ষা চান। কিন্তু দলগুলো ওই নিরীক্ষার বিপক্ষে। (সরকার গঠনের) পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলাম।
এএপি সরকার পাঁচ দিনে যে কাজ করেছে অন্যান্যরা পাঁচ বছরেও সে কাজ করতে পারেনি বলে দাবি করেন কেজরিওয়াল।
১৯৮৪ সালের শিখবিরোধী দাঙ্গার তদন্ত নিয়ে আন্দোলনকর্মী থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া কেজরিওয়াল বলেন, ‘তারা (বিজেপি ও কংগ্রেস) ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু তারা তদন্ত দাবি করেনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পরই আমি লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের সঙ্গে দেখা করে তদন্ত দাবি করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৪