ঢাকা: থাইল্যান্ডে রোববারের ভোট রুখতে যা যা করা দরকার সম্ভাব্য সবই করছে সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা। ভোটের দুই দিন আগেই বিক্ষোভকারীরা যেসব কার্যালয়ে ব্যালট পেপার রাখা হয়েছে তা দখল করে রেখেছেন।
এদিকে ভোট নির্বিঘ্ন করতে রাজধানী ব্যাংককে দশ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। আর নির্বাচন ভন্ডুল করার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ফলে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনা টহলও জোরদার করা হয়েছে।
বিবিসি অনলাইন জানায়, ব্যালট পেপার যাতে কোন কেন্দ্রে না পৌঁছতে পারে সেজন্য ব্যাংকক ও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র ঘেরাও করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা নির্বাচনের পরিবর্তে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিল’ বা গণপরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে।
আন্দোলন বিক্ষোভের মুখে অনেক প্রার্থীই নিবন্ধন করাননি। ফলে দেশটির পার্লামেন্ট কোরাম সংকটেও পড়তে পারে।
এদিকে থাইল্যান্ডের পত্রিকা ব্যাংকক পোস্ট দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে জানায়, রোববারের নির্বাচন সম্পন্ন করতে তাদের কমপক্ষে ৪৪ হাজার নির্বাচন কর্মকর্তা প্রয়োজন। কিন্তু চলমান অস্থিরতার মধ্যে কেউই এই কাজে আসতে
চাইছেন না। ফলে লোকবল সংকটে পড়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
থাইল্যান্ডে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারের দাবিতে গত বছরের নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ হচ্ছে। সংঘর্ষ ও হামলায় ইতিমধ্যে ১০ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট ভেঙে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৪