ঢাকা: প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীও এগিয়ে চলছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল রবাট ডব্লিউ কোনে জানিয়েছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ তারা কিছু সেনা কর্মকর্তার বদলে রোবট মোতায়েন করবেন।
সম্প্রতি আর্মি অ্যাভিয়েশন সিম্পোজিয়ামে এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা সামরিক বাহিনীর আকার কমানোর চিন্তা-ভাবনা করছি। এর পরিবর্তে ড্রোন বা রোবট ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পত্রিকা ডিফেন্স নিউজ জানায়, জেনারেল রবার্টের এ বক্তৃতা মূলত লে. জেনারেল কেইথ ওয়াকারের কথার প্রতিধ্বনি। কেইথ ৬ জানুয়ারি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা প্রযুক্তির সহায়তায় আমাদের বাহিনীতে পরিবর্তন আনতে চাই।
তিনি পরিবর্তনের ২০৩০-২০৪০ সালের মধ্যে পরিবর্তন হবে বলে জানান।
এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সামরিক বাহিনীর পেছনে ব্যয়ের বড় একটা অংশ বেঁচে যাবে। কারণ সৈন্যদের প্রশিক্ষণ, খাদ্য, মেডিকেল সেবা ও সরঞ্জমাদির পেছনে সরকারকে প্রচুর খরচ করতে হয়। ২০১২ সালে পেন্টাগন বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ খরচ হয় সেনাদের অবসরকালীন ভাতা ও নানা সুযোগ সুবিধা প্রদানে।
তবে সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাশুল দিতে হবে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েক হাজার সদস্যকে।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা বলেন, তিনি সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমব্যাট টিমের আকার এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে ফেলার চিন্তা করছেন। ফলে ক্যারিয়ার নিয়ে আশঙ্কায় পড়েছেন অনেক সেনা সদস্য।
শুধু সেনাবাহিনী নয় গত সেপ্টেম্বরে অক্সফোর্ড মার্টিন স্কুলের ‘পেশার উপর প্রযুক্তির প্রভাব’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে আগামী দুই দশকে ৪৫ ভাগ মার্কিনি প্রযুক্তির কারণে তাদের চাকরি হারাতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪