ঢাকা: অবশেষে তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। সরকারের সঙ্গে তালেবানদের শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দিন শেষে রাজধানী ইসলামাবাদে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগের বৈঠকে আলোচনার রোডম্যাপ তৈরি করতে সরকার ও তালেবানদের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতাকারী মনোনয়ন দেয়া হয়।
সরকারের পক্ষে আলোচনার মধ্যস্থতা করছেন-বিশিষ্ট সাংবাদিক রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই ও ইরফান সিদ্দিকী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত রুস্তম শাহ মুহমান্দ ও সাবেক আইএসআই কর্মকর্তা আমির শাহ।
তালেবানদের পক্ষে কমিটিতে আছেন-মাওলানা সামিউল হক, ইসলামাবাদ লাল মসজিদের প্রধান খতিব মাওলানা আব্দুল আজিজ ও ধর্মীয় দলের দুইজন শীর্ষ নেতা মুফতি কিফায়েতুল্লাহ ও অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খান।
বৈঠক সম্পর্কে মাওলানা সামিউল হক জানিয়েছেন, প্রাথমিক বৈঠকের পরই তালেবান নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হবে কিভাবে শান্তি আলোচনাকে এগিয়ে নেয়া যায়।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও আলোচনার মধ্যস্থতাকারী সাংবাদিক ইরফান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য অবশ্যই তিনি সরকার ও তালেবানদের পক্ষ থেকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রত্যাশা করেন।
তিনি বলেন, তালেবানরা আলোচনার জন্য এখনো কোন আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেনি। তবে গণমাধ্যমগুলো বলছে, তালেবানরা পুরো পাকিস্তানে শরীয়া আইন বাস্তবায়ন করতে চায়।
এদিকে,পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান জানিয়েছেন, তার দল আলোচনায় অংশ না নিলেও তিনি আশা করেন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া খুবই দরকার এবং তারাও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কেননা, দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের চলমান এ সমস্যার কারণে অন্তত ৫০ হাজার লোক মারা গেছে। দেশে যুদ্ধাবস্থা চলছে।
২০০৭ সাল থেকে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দেশটিতে সশস্ত্র সংঘাত শুরু করে। সরকারি ভবন ও নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালায় তারা।
মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর তালেবানদের হামলা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। গত মাসেও তাদের হামলায় সেনাসহ ১শ’ জনের বেশি লোক নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪