ঢাকা: কোরীয় যুদ্ধে আলাদা হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দুই কোরিয়া সম্মতি দিয়েছে। সম্পর্ক উন্নয়নে পিয়ংইয়ংয়ের আহ্বানের পর এ পুনর্মিলন অনুষ্ঠান হচ্ছে।
২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরীয়রা। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দক্ষিণের বিরুদ্ধে ‘বৈরিতা’র অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে উত্তর কোরিয়া।
চলতি মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার আগেই এমন সম্মতিতে পৌঁছালো সিউল ও পিয়ংইয়ং। এ মহড়াকে খুব ভালো চোখে দেখে না কিম জং-উনের সরকার।
সিউলকে এ মহড়া বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। তবে পিয়ংইয়ংয়ের আহ্বানে তেমন সাড়া দেয়নি সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকাণ্ডে নাখোশ হয়ে পারিবারিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান স্থগিত ও বাতিল করে উত্তর কোরিয়া। সমালোচকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া পুনর্মিলন অনুষ্ঠানকে দর কষাকষির বস্তু হিসেবে ব্যবহার করছে।
১৯৫০-১৯৫৩ সালের যুদ্ধের সময় কোরীয় উপদ্বীপের বিভক্তির কারণে লাখ লাখ কোরীয় তাদের পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৪