ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের ক্রিমিয়া বিমানবন্দর রুশ সৈন্যের নিয়ন্ত্রণে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া বিমানবন্দর রুশ সৈন্যের নিয়ন্ত্রণে!

ঢাকা: ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট রুশপন্থীদের দখলে যাওয়ার পর এবার সেখানের একটি বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারীরা।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাকোভ দাবি করেছেন, রাশিয়ার সৈন্য ক্রিমিয়ার সেভাস্তপোল বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে।



তিনি একে ‘সশস্ত্র আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে রাশিয়া আরসেন আভাকোভের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকার ক্রিমিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে ক্রিমিয়ার প্রধান বিমানবন্দর সিমফেরোপুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখলে নেয় অস্ত্রধারীরা। অস্ত্রধারীদের রাশিয়াপন্থী মিলিশিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনে রুশ-নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত ক্রিমিয়া এ উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।

ইয়ানুকোভিচ বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। শুক্রবার দিন শেষে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রোস্তভ-অন-দন শহরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন।

ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেকে ইউক্রেনের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করবেন।

আভাকোভ দাবি করেন, অস্ত্রধারীরা রাশিয়ার সৈন্য। তারা শুক্রবার সকালে কৃষ্ণ সাগরের নৌ ঘাঁটি থেকে সেভাস্তপোল সামরিক বিমানবন্দরের পৌঁছেন।

তিনি ‍জানান, অস্ত্রধারীরা সাঁজোয়া যানে বিমানবন্দরের বাইরে টহল দিচ্ছেন। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্য ও নিরাপত্তা রক্ষীরা ভেতরে রয়েছেন।

ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চুক্তি ও নিয়ম লঙ্ঘন করে যা ঘটেছে তা আমি সশস্ত্র আগ্রাসন ও দখল দেখছি। ’

বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, রাতভর সিমফেরোপোল বিমানবন্দরে অস্ত্রধারীরা প্রবেশ করেছেন। তাদের কারও কারও হাতে রাশিয়ার পতাকা রয়েছে।

ভ্লাদিমির নামে একজন রয়টার্সকে জানিয়েছে, তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সহায়তা করছেন। তবে তিনি জানেন না, তারা (অস্ত্রধারীরা) কোথা থেকে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘আমি ক্রিমিয়ার পিপল’স মিলিশিয়ার সঙ্গে রয়েছি। আমরা সাধারণ, স্বেচ্ছাসেবী জনগণ। আমরা বিমানবন্দরের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এসেছি।

আমরা সুন্দর হাসি দিয়ে প্লেনগুলোকে অভ্যর্ন্থনা জানাচ্ছি, বিমানবন্দরের স্বাভাবিকভাবে কাজ চলছে। ’

সহিংস সংঘর্ষ ও আন্দোলনে  ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কিয়েভ থেকে ক্রিমিয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে। ইউক্রেনের অস্থায়ী শাসকেরা আশঙ্কা করছে, ইউক্রেন থেকে আলাদ হয়ে যেতে পারে রাশিয়াপন্থী ইউক্রেনীয় অধ্যুষিত ক্রিমিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।