ঢাকা: রাশিয়ার পার্লামেন্ট প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ন্যাটো মিত্রদের হুমকি সরাসরি উপেক্ষা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী দেশটিতে সামরিক অভিযান পরিচালনার এ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন।
রুশ পার্লামেন্টের এই অনুমোদন পাওয়ার ফলে কট্টর মার্কিন বিরোধী বলে পরিচিত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামনে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর পথে আর কোনো আইনগত বাধা রইলো না।
রাশিয়ার এই কট্টর অবস্থানের কারণে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এরই মধ্যে জাতিসংঘের একটি জরুরি বৈঠকও ডেকেছেন। একই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ন্যাটো ও দীর্ঘ দেয়াদী সামরিক ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের হুমকি-ধমকি ও উদ্বেগ প্রকাশকে আমল না দিয়ে রীতিমতো সমর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। অনেকে আশংকা করছেন ক্রিমিয়ায় রুশ বংশোদ্ভূতদের প্রাধান্যের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়া ক্রিমিয়াকে নিজের কব্জায় নিতে চায়। রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহর ক্রিমিয়ার সেবাস্তোপল বন্দরে এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তিবলে মোতায়েন রয়েছে। সেবাস্তোপল কব্জায় নিলে রাশিয়ার নৌবাহিনীর জন্য তা হবে এক বিশাল অর্জন। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন রুশ নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ ক্রিমিয়া উপহার দিয়েছিলেন ইউক্রেনকে। এর আগে ক্রিমিয়া ছিল রাশিয়ারই অংশ।
অনেকের আশংকা জর্জিয়া যুদ্ধের পর পুতিন যেভাবে দক্ষিণ ওশেতিয়া ও আবখাজিয়া দখল করে অঞ্চল দুটিকে স্বাধীন করে কার্যত রাশিয়ার অংশ করে নিয়েছেন ক্রিমিয়ার বেলায়ও তা-ই হতে যাচ্ছে। আর ইউক্রেন আক্রমণের মতো পর্যাপ্ত ‘যুক্তিও’ পুতিনের হাতে আছে। আর পুতিন সব সময় নিজেকে এক কথার লোক হিসেবেই প্রমাণ করেছেন। তিনি তার সামনের যে কোনো বাধাকেই চুরমার করে এগিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রও তার পথে কখনও বাধা হতে পারে নি। এবারও পারবেনা। বিশ্লেষকরা এমনটাই বলছেন। (বিভিন্ন বিদেশি সংবাদসূত্র অবলম্বনে)
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৪
**ক্রিমিয়ায় যেকোনো মুহূর্তে রুশ অভিযান!