ঢাকা: বিমসটেকের নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছে নেপাল। বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়াটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (বিমসটেকের) তৃতীয় সম্মেলনে নেপালকে সংগঠনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মায়ানমারের রাজধানী নেপিতোয় চারদিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিন তিনটি সমঝোতা স্মারক সই শেষে সংগঠনের বিমসটেকের ঘোষণাপত্রে নেপালকে চেয়ারম্যানশিপ প্রদান ও মহাসচিব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
বিমসটেকের চেয়ারম্যান হিসেবে বর্ণক্রমানুসারে নিযুক্ত হয়। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এশিয়ার এ আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব লাভ করে বাংলাদেশ। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের পর চেয়ারম্যানশিপ পায় ভারত। এরপর মায়ানমার (২০০১-২০০২), শ্রীলঙ্কা (২০০২-২০০৩), থাইল্যান্ড (২০০৩-২০০৫), বাংলাদেশ (২০০৫-২০০৬) পর্যায়ক্রমে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পায়।
এর নিয়মানুসারে ভুটানের চেয়ারম্যান হওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে ভুটান। তাই ২০০৬-২০০৯ মেয়াদে ভারত পুনরায় চেয়ারম্যানশিপ পায়। ২০০৯ সালে মায়ানমারে অনুষ্ঠিত ১২তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পরবর্তী মেয়াদে বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পায় মায়ানমার।
২০১৩ সালের ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি মায়ানমারে বিমসটেকের তৃতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়।
১৯৯৭ সালে ব্যাংককে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডেকে নিয়ে গঠিত হয় বিসটেক-ইসি (বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড অর্থনেতিক সহযোগিতা)। ওই বছরের শেষের দিকে মায়ানমারের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নামে পরিবর্তন এনে করা হয় বিমসটেক-ইসি। এরপর ১৯৯৮ সালে ভুটান ও ২০০৪ সালে নেপালের যোগ দেয়।
২০০৪ সালের ৩১ জুলাইয়ে সংগঠনের প্রথম সম্মেলনে নামকরণ করা হয় বিমসটেক বা বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়াটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৪