ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টোনের সঙ্গে ইরানের শীর্ষ নেতাদের ঐতিহাসিক পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।
রোববার তেহরানে অনুষ্ঠিতব্য এ আলোচনায় অংশ নিতে এরই মধ্যে তিনদিনের জন্য ইরান সফরে আছেন ক্যাথরিন অ্যাস্টোন।
এ সফরকালে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, স্পিকার আলী লারিজানি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
গত বছর ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত হাসান রুহানি বিজয়ী হলে তিনি পরমাণু ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এতে করে পরমাণু ইস্যুতে আলোচনা করতে ক্যাথরিন অ্যাস্টোনের তেহরান সফরের পথ সুগম হয়।
তা ছাড়া গত বছরের নভেম্বরে বিশ্বের পঞ্চম শক্তি ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের এক চুক্তি সইয়ে সহযোগিতা করেন ক্যাথরিন অ্যাস্টোন।
ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মজিদ তাখতে রাভানচি জানিয়েছেন, তিনদিনের তেহরান সফরকালে ক্যাথরিন অ্যাস্টোনের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুই প্রাধান্য পাবে।
তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, সিরিয়ায় চলমান সহিংসতা বন্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে অনুরোধ জানাতে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ইরান এগিয়ে আসবে বলেও আশা করেন অ্যাস্টোন।
এদিকে, ইরানের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সোমবার ক্যাথরিন অ্যাস্টোনের ইরানের ঐতিহাসিক শহর ইসফাহান সফরের কথা রয়েছে।
বিবিসি প্রতিনিধি বলছেন, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে নতুনভাবে গড়ে ওঠা সম্পর্ক আরো বিকশিত করতেই এ সফর। গত বছর বিশ্বের পঞ্চম শক্তি ও জার্মানির সঙ্গে এক চুক্তি হয় ইরানের। এতে বলা হয়, তেহরানের ওপর থেকে পশ্চিমাদের আরোপিত অবরোধ উঠিয়ে নিলে পরমাণু কর্মসূচি সমৃদ্ধকরণ শিথিল করবে ইরান।
তবে পাশ্চাত্য চাইছে, ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম না হয়, সে জন্য স্থায়ীভাবে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসুক ইরানি নেতৃত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৪