ঢাকা: আফগানিস্তানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বানচাল করতে সহিংস অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির তালেবানরা। এজন্য নির্বাচনী কর্মকর্তা, ভোটার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর জন্য যোদ্ধাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে তারা।
সোমবার এক ই-মেইল বিবৃতিতে তালেবানরা এ ঘোষণা দেয়।
অসমর্থিত ওই বার্তায় তালেবানরা বলেছেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যাহত করতে নির্বাচনের কর্মকর্তা, কর্মী, ভোটার এবং নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি ও অফিসকে লক্ষ্য করে সর্বশক্তি ব্যবহারের জন্য আমরা সব মুজাহিদিনকে নির্দেশ দিয়েছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের আড়ালে সবশেষ বিদেশি শক্তির চক্রান্ত মোকাবেলা করা প্রত্যেক আফগান নাগরিকের দায়িত্ব। তারা যদি নির্বাচনের অফিস, ভোটিং বুথ, র্যালি ও প্রচার অভিযান হতে দূরে থাকে তাহলে তাদের জীবন বিপদের সম্মুখীন হবে না। এরপরেও যদি কেউ নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে ভবিষ্যতে যেকোন ধরনের ক্ষতির জন্য তিনিই দায়ী থাকবেন।
এর আগে ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বয়কট করে ব্যাপক সহিংসতা চালায় তালেবানরা। এতে কেবল নির্বাচনের দিনই অন্তত ৩১ বেসামরিক নাগরিক এবং ২৬ পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
গত ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর ন্যাটো নেতৃত্বাধীন সামরিক হামলায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয় তালেবানদের। আর সেই থেকে একটি কার্যকর রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে আফগানিস্তান।
এসময় তালেবানদের মোকাবেলায় সেনা অভিযান ও দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোটি কোটি অর্থ খরচ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সেখানে প্রতিনিয়ত সহিংসতা ঘটেই যাচ্ছে। সরকারের দুর্বল কাঠামো, বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ভঙ্গুর অর্থনীতির তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি।
এদিকে, দীর্ঘ ১৩ বছর পর চলতি বছরের শেষ দিকে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। এতে করে দেশটি আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ১০১৪