ঢাকা: নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে চীনের করা দাবি নাকচ করে দিয়েছে কুয়ালালামপুর।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সিভিল অ্যাভিয়েশন বিভাগের প্রধান আজহারুদ্দিন আবদুল রহমান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, স্যাটেলাইটে ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন ধরা পড়েছে বলে চীন যে দাবি করেছে সেখানে আসলে নিখোঁজ বিমানের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।
মালয়েশিয়ান কর্মকর্তাদের বক্তব্যের পক্ষে জোরালো সমর্থন হলো এর আগে ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, তারা সম্প্রতি চীনের দাবি করা এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তল্লাশি চালিয়েছেন। তখন যেহেতু কিছু ধরা পড়েনি, সুতরাং চীনের দাবিটিও বিশ্বাসযোগ্য নয়।
এর আগে, নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজটির ‘ধ্বংসাবশেষ’ চিহ্নিত করার দাবি করে সরকারি ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কিছু ছবি প্রকাশ করে চীন।
ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন স্যাটেলোইটে ধরা পড়েছে উল্লেখ করে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে বড় আকৃতির তিনটি বস্তু ভাসতে দেখা গেছে। এই বস্তুগুলোর মাধ্যমে নিখোঁজ উড়োজাহাজের নতুন রহস্য খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, স্যাটেলাইটে ধরা পড়া সবচেয়ে বড় ধ্বংসাবশেষটির আকার আনুমানিক ২৪ মিটার বাই ২২ মিটার।
স্যাটেলাইটের মানচিত্রে ‘ধ্বংসাবশেষের’ স্থান হিসেবে মালয়েশিয়ার পূর্ব ও ভিয়েতনামের দক্ষিণ উপকূলে দক্ষিণ চীন সাগরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পরদিন রোববার ছবিগুলো তোলা হলেও চীনের বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইটে বুধবার ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়।
এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজের দেওয়া বার্তা বুধবার প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষের এক রেডিও বার্তার সাড়া দিয়ে এমএইচ ৩৭০ ফ্লাইটটি জানিয়েছিল ‘সব ঠিক আছে’ (অলরাইট)।
এ বার্তা দেওয়ার কয়েক মুহূর্ত পর রাডার থেকে হারিয়ে যায় ২৩৯ আরোহীবাহী উড়োজাহাজটি।
শুক্রবার দিনগত রাত স্থানীয় সময় ১২টা ৪১ মিনিটে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর ছেড়ে যায়। কিন্তু এর দু‘ঘণ্টা পর রাডার থেকে হারিয়ে যায় উড়োজাহাজটি।
ভিয়েতনাম উপকূলে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে ভিয়েতনামের নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানালেও পরে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এরপর চোরাই পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুই ব্যক্তি ভ্রমণ করায় উড়োজাহাজটির নিখোঁজের পেছনে সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতার আশঙ্কা জোরালো হয়। কিন্তু ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় উন্মোচিত হলে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতা নেই।
সবশেষে জানা যায়, মাল্লাকা প্রণালীতে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান বিষয়টি অস্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৪