কায়রো: যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডার সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে সহিংসতা এড়িয়ে সংস্কারের কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
কায়রোর বিভিন্ন স্থানে লুটপাটের ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানে চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছে, রাস্তায় রাস্তায় নৈরাজ্য শুরু হয়ে গেছে।
বিক্ষোভের মুখে হোসনি মোবারক শনিবার ১৯৮১ সালের পর এই প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদেও পরিবর্তন এনেছেন। তবে জনগণের কথা বিবেচনা না করে সেনাবাহিনীকে খুশি করতে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোবারকের একমাত্র আশা নবগঠিত সরকারকে হয়ত মেনে নেবে বিক্ষোভকারীরা। তবে রাস্তায় হাজার হাজার আন্দোলনকারীদের একমাত্র দাবি: মোবারককে পদত্যাগ করতে হবে।
আন্দোলনে পর্যন্ত শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই সহস্রাধিক। সেনাবাহিনীর জারি করা কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছে, কখনো সেনাসদস্যদের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এর মধ্যে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর একটি অংশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে।
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিশরের জাতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি মোবারকের উদ্দেশে জনগণের দাবি মেনে নেওয়া ও সহিংসতার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এরপর হোয়াইট হাউস জানায়, স্বচ্ছ রাজনৈতিক সংস্কার, সার্বজনীন অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে মনোযোগ দেবে।
গত ৩০ বছর ধরে হোসনি মোবারক মিশরের শাসনক্ষমতা আঁকড়ে আছেন। সাধারণ মানুষ গত মঙ্গলবার থেকে তার শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে যে কোনো মূল্যে সহিংসতা এড়িয়ে চলার জন্য আমরা প্রেসিডেন্ট মোবারকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ’ একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলা হয়, তাদের দাবিদাওয়া শান্তিপূর্ণভাবে আদায়ের জন্যও জানাচ্ছি।
কানাডা জানায়, ‘আমরা গণতন্ত্র সমর্থন করি। এ লক্ষ্যে মোবারকের নতুন সরকার পদক্ষেপ নেবে। জনগণের কথা শুনবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১