ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ক্রিমিয়ায় গণভোট চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৪
ক্রিমিয়ায় গণভোট চলছে

ঢাকা: রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া নিয়ে ইউক্রেন থেকে নিজেকে আলাদা বলে ঘোষণাকারী ক্রিমিয়ায় চলছে গণভোট। ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত ‍অঞ্চল হিসেবে থাকবে কিংবা রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেবে তা ক্রিমিরার জনগণের ভোটে নির্ধারিত হবে।



পূর্বনির্ধারিত সময় ‍অনুযায়ী রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে টানা ১২ ঘণ্টা।

মস্কো সমর্থিত ক্রিমিয়ার গণভোটকে ‘অবৈধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে কিয়েভ ও পশ্চিমারা। ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে রুশ সৈন্য রুশ নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত ক্রিমিয়ায় অবস্থান করছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন থেকে বের হওয়ার পক্ষে জনগণ রায় দেবে। তবে ইউক্রেনীয় ও তাতার নৃ-গোষ্ঠীরা গণভোট বয়কট করেছে।

ক্রিমিয়ার জনগোষ্ঠীর ৫৮.৫ শতাংশ রুশ নৃ-গোষ্ঠীর। বাকিরা ইউক্রেনীয় ও তাতার। ১৫ লাখ লোক ভোট দিতে পারবেন। গণভোট শেষ হওয়ার অল্প সময়ের
মধ্যে প্রথম ফলাফল পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভোট কেন্দ্র খুলে দেওয়ার এক মিনিটের মধ্যে ১০০ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বিবিসি’র বেন ব্রাউন বলেছেন, ক্রিমিয়ার রাজধানী সিমফারেপোলের একটি ভোটকেন্দ্রে প্রথম মিনিটে ১০০ ভোট পড়েছে।

রোববারের গণভোটে দুটি পছন্দের মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে ক্রিমিয়ার অধিবাসীদের। পছন্দ দুটি হচ্ছে-

প্রথম. আপনি কি রুশ ফেডারেশনের অংশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার যোগ দেওয়ার পক্ষে?

দ্বিতীয়. আপনি কি ১৯৯২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়া ও ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে রাখার পক্ষে?

এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিজেকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করে ক্রিমিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্ট। কিন্তু ক্রিমীয় পার্লামেন্টের ঘোষণাকে অবৈধ বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় সরকার।

তিন মাসব্যাপী সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন ছেড়ে পালানোর পর থেকে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।

রুশ নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত ক্রিমিয়ার স্থানীয় সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে সৈন্য পাঠায় রাশিয়া।   কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রিমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে রুশ সৈন্য।

গত বছরের নভেম্বরে ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে সরে আসার পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রপন্থীরা।

বিভিন্নভাবে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয় ইয়ানুকোভিচের সরকার। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ইয়ানুকোভিচ। এর কিয়েভের অস্থায়ী সরকার ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

বৈধ সরকারকে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগ এনে রাশিয়া ইয়ানুকোভিচকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতির পরপরেই ক্রিমিয়া পৃথক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষা করতে সব চেষ্টা চালানোর কথা জানালেও রুশ সৈন্যের উপস্থিতি কোনো কিছুই করতে পারেনি কিয়েভ সরকার।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, সার্বিয়া থেকে কসোভো যেভাবে আলাদা হয়েছে সেভাবেই ক্রিমিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করছে। এতে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে না।

কৌশলগত দিক থেকে রাশিয়ার জন্য ক্রিমিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার চারটি নৌ বহরের একটির অবস্থান ক্রিমিয়ার সেভাস্তিপলে থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণ সাগরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।