ঢাকা: মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ উড়োজাহাজের দুই পাইলটকে একসঙ্গে উড়োজাহাজটি পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের নির্দেশনা ছিল না।
মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিবহনমন্ত্রী দাতুক সেরি হিশাম উদ্দিন রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।
উড়োজাহাজের প্রধান পাইলট জাহারি আহমেদ শাহ ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে যোগ দেন। ৩৩ বছরের বৈমানিক জীবনে ১৮ হাজার ৩৬৫ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। পেশাগত জীবনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
এমএইচ৩৭০ এ তার সহকারী হিসেবে ছিলেন ফারিক আব্দুল হামিদ। তিনি ২০০৭ সালে মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সে যোগ দেন। তার ২ হাজার ৭৬৩ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
উড়োজাহাজ নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত জাহারি আহমেদ শাহ’র বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হিভূত কোনো কর্মকাণ্ড করার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তবে ফারিক আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে ককপিটে ধূমপান করা, যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সিএনএনের অ্যাভিয়েশন করেসপন্ডেন্ট রিচার্ড কুয়েস্ট একবার এমএইচ ৩৭০ এর যাত্রী হিসেবে ভ্রমণের সময় ফার্স্ট অফিসার ফারিক আব্দুল হামিদের সঙ্গে ককপিটে দেখা করেছিলেন। সেসময় হামিদ প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। ওই সময় কুয়েস্ট দেখেন, সিনিয়র এক পাইলটের নির্দেশনা অনুযায়ী উড়োজাহাজ অবতরণ করছেন। পাইলট হামিদের অবতরণকে ‘পারফেক্ট’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
তবে শুধু রিচার্ড কুয়েস্টই নন, অনেকেই হামিদের সঙ্গে ককপিটে দেখা করেছেন।
থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়া ভ্রমণের সময় জন্টি রোস নামের এক যাত্রীর ককপিটে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। ওই ফ্লাইটটি সহকারি হিসেবে ফরিক পরিচালনা করছিলেন। ফরিক ও তার সহকর্মীদের ধূমপান করতে দেখতে পান তিনি।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এমএইচ৩৭০ ‘ছিনতাই’ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করার পর জাহারি আব্দুল্লাহ শাহ’র বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। জাহারির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর জাহারির সহকারী ফরিকের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
উধাও হওয়ার পেছনে উড়োজাহাজের পাইলটের হাত থাকতে পারে-এমন গুজবের নিন্দা করেছেন জাহারির ঘনিষ্ঠ ও বন্ধু-বান্ধবেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৪