লাহোর: বিতর্কিত ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা) আইন সংস্কারের প্রতিবাদে পাকিস্তানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে। দেশটির পূর্বের লাহোর শহরে রোববার আইন সংস্কারের প্রতিবাদে ধর্মীয় দলগুলো নতুন এ সমাবেশে যোগ দেয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পাঞ্জাবের প্রয়াত গভর্নর সালমান তাসির বিতর্কিত এ আইন সংস্কারের অঙ্গীকার করার পর থেকেই পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ধর্মীয় দলগুলো এর প্রতিবাদ করে আসছেন। ধর্মকে অবমাননা করায় সম্প্রতি এ আইনের আওতায় এক খ্রিস্টান নারীকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়।
এ শাস্তির প্রতিবাদ করায় ৪ জানুয়ারি তাসির তার নিজস্ব দেহরক্ষীর হাতে খুন হন। ব্লাসফেমি আইন সংস্কারের পক্ষে মত দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ওই দেহরক্ষী দাবি করেন।
এরপর থেকেই ধর্মীয় দলগুলোর অব্যাহত চাপের মুখে এ ধরনের কোনো সংস্কারের ইচ্ছা নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধর্মীয় দল জামাত-ই-ইসলাম, জামায়াতে উলেমা-ই-পাকিস্তান এবং ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলায় সাহায্য করা জামাত-উদ-দাওয়ার কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় তারা তাসিরের হত্যাকারী পুলিশ কমান্ডো মমতাজ কাদরির সমর্থনে ব্যানার প্রদর্শন করেন।
একইসঙ্গে তারা ‘মমতাজ কাদরিকে মুক্ত করো’, ‘নবী মোহাম্মদের সম্মানে আমরা জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত’ এবং ‘ব্লাসফেমি আইনের পরিবর্তন গ্রহণ করা হবে না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় বিক্ষোভকারীরা পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট এবং পাকিস্তানি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টির কুশপুত্তলিকা পোড়ায় এবং ‘আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। বার্তাসংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবাদকারীদের মোট সংখ্যা ৪০ হাজার বলে স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তা তারিক জামান জানান।
এসয় সমাবেশে পাকিস্তানি মুসলিম লিগ ও কায়েদি আজম দলের নেতা কর্মীদেরও সমাবেশে দেখা যায় বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১১