ঢাকা: দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে দু’টি ‘ধ্বংসাবশেষ’ পাওয়া গেছে। এগুলো নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজের হতে পারে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট।
উপগ্রহ(স্যাটেলাইট)থেকে পাওয়া চিত্রের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদে এ-তথ্য জানান তিনি।
টনি অ্যাবোট জানান, উপগ্রহে ধরা পড়া চিত্রে পার্থের উপকূলবর্তী জলসীমায় বস্তু দু’টি দেখা গেছে। এগুলো নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজের হতে পারে। তবে এগুলো যে নিখোঁজ উড়োজাহাজেরই এমন কথা নিশ্চিত করে বলেননি তিনি।
তিনি আরও জানান, বস্তুগুলো পরীক্ষা করে দেখতে ওইস্থানে অনুসন্ধানী বিমান অস্ট্রেলিয়ান পি-৩ ওরিয়ন উড়োজাহাজ পাঠানো হয়েছে।
সংসদে অ্যাবোট জানান, অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ স্যাটেলাইটে দু’টি চিত্র দেখতে পায়। এরপর বিষয়টি গবেষকদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়।
সংসদে তিনি সবার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত জটিল, আমরা সবাই জানি। সন্ধান পাওয়া ‘ধ্বংসাবশেষ’ দু’টি নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানের হতে পারে আবার না-ও হতে পারে।
বিষয়টি ‘আমি ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নাজিব রাজাককে অবগত করেছি’ বলেও জানান অ্যাবোট।
অস্ট্রেলিয়ান সমুদ্র নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় এ-বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য এক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
নিখোঁজ উড়োজাহাজটির খোঁজে নেতৃত্ব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া উড়োজাহাজটির খোঁজে মালয়েশীয় সরকারকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
উড়োজাহাজটির খোঁজে অনুসন্ধানে নেমেছে ২৬টি দেশ। এ ছাড়াও চীনও সেদেশের সমুদ্র সীমার মধ্যে উড়োজাহাজটির খোঁজে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩৭০ উড়োজাহাজটি ৭ মার্চ রাতে মালয়েশিয়া থেকে ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রুসহ চীনের উদ্দেশে রওয়ানার হওয়ার ৪০ মিনিটের মধ্যে নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে সমুদ্রে ও স্থলে খোঁজে তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৪/আপডেট: ১০১৭