বেইজিং: মিশরে চলমান বিক্ষোভ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ এবং অনলাইনে আলোচনা নিষিদ্ধ করেছে চীন। এই অভ্যুত্থান বিষয়ক সংবাদ বিরূপ প্রভাব ফেলবে এই আশংকায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সোমবারে মিশর বিক্ষোভ সংক্রান্ত সংবাদের জন্য অনলাইনে সার্চ (সন্ধান) দেওয়া হলে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। এছাড়াও পাঠকরা যাতে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করতে না পারে সেজন্য প্রধান পোর্টালগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চীন সরকার মিশরে অবস্থান করা তার দেশের পাঁচ শতাধিক নাগরিকদের নিরাপদে আনতে কায়রোতে দুটি সরকারি বিমান পাঠাচ্ছে।
সোমবার চীনের প্রধান সব সংবাদপত্রে মিশর বিক্ষোভের কোনো ছবি প্রকাশিত হয়নি।
এদিকে, দেশটির সংবাদ চ্যানেলগুলো বিক্ষোভের কোনো ছবি বা ভিডিও সম্প্রচারের পরিবর্তে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবারকের বৈঠকের ভিডিও প্রচার করে।
বেইজিংয়ে সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট দানওয়েই ডট ওআরজির সম্পাদক জেরেমি গোল্ডকর্ন বলেন, ‘আমি মনে করি, সব গণমাধ্যমকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া থেকে সংবাদ সংগ্রহের নির্দেশ দিতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এখান থেকে সংবাদ নিলে সেগুলো নেতিবাচক অথবা সেখানে পাশ্চাত্যের প্রভাব থাকবে। ’
চীনের নেতারা সরকারের কর্মকর্তাদের কটূক্তিপূর্ণ প্রতিবেদন, ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে কয়েক বছর ধরে গণঅসন্তোষের মুখে পড়েছেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
এর আগে চীনের তিব্বত এবং উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল জিনজিয়াং এ ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে অভ্যুত্থান কেন্দ্রিক সংঘর্ষ দমন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১