কায়রো: মিশরে বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে ‘লাখো মানুষের মিছিল’ বের করেছে। আর এতে সমর্থন জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দাবি বৈধ এবং সেনারা তাদের ওপর গুলি করবে না।
সংগঠকরা বলছেন, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মিছিল তারা আয়োজন করতে যাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কায়রোর মধ্যস্থলে জড়ো হয়েছেন।
সোমবার মোবারক নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সরকারের তরফ থেকে বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান করা হলেও বিক্ষোভকারীরা এক দাবিতেই অনড় ছিলেন: মোবারককে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
এরমধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলাইমান বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করতে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে সংবিধানে সংস্কার করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মুহূর্তে মোবারকের জন্য বড় ধাক্কা হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের পক্ষাবলম্বন করে সেনাবাহিনীর ঘোষণা। এ ঘোষণায় বিক্ষোভকারীরা আরও উৎসাহ পেয়েছেন।
অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট এবং রাজধানী কায়রো, আলেক্সান্দ্রিয়াসহ বিভিন্ন শহরে ‘মার্চ অব এ মিলিয়ন ম্যান’ আহ্বান করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১২৫ নিহত ও প্রায় চার হাজার লোক আহত হয়েছে। তবে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বেশি বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
একটি বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘মিশরের মহান মানুষের উদ্দেশে বলছি, আপনাদের সশস্ত্র সেনাবাহিনী আপনাদের বৈধ অধিকারের প্রতি সম্মতি জানাচ্ছে। তারা মিশরের মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ করবে না। ’
বন্দরনগীর আলেক্সান্দ্রিয়ার রেলস্টেশনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছেন। এখান থেকে তারা কায়রোর বিক্ষোভের সঙ্গে যোগ দেবেন। বাস, ট্রেন ও বিমান স্বল্পতার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৃথক র্যালি-মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নিতে আসা তারেক শালাবি বিবিসিকে বলেন, বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে আন্দোলনকারীরা তাঁবু পেতে অথবা তাহরির পাশে ঘুমিয়েছে। তিনি এমন পরিস্থিতিকে ‘বিস্ময়কর’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি একটি কথা জানাতে, আমরা হোসনি মোবারককে চাই না। তিনি পদত্যাগ না করলে আমরা যাব না। ’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আইনজীবী আহমেদ হেলমি (৪৫) বলেন, ‘তার (হোসনি মোবারক) একটি ব্যাপারেই সমর্থন করব। আর তা হচ্ছে, তিনি একটি বিমান নেবেন এবং তাতে চড়ে দেশ ছাড়বেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১১